বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বাস্তবিক ৯ এর পরে ১০! এভাবে জমা জলের কারণে মৃত্যু ভাবা যায় না। আবার জমা জলে কারণে মৃত্যু হলো সরশুনার সুমন্তী দেবীর (৬২)। এবার ঘটনাস্থল সরশুনার ক্ষুদিরাম পল্লী। এদিন সকালে নিজের দোকানের শাটার খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন সুমন্তী দেবী (৬২)। এলাকার লোকজন বলছেন জমা জলে দাঁড়িয়ে শাটার খুলছিলেন তিনি। তখনই কোনওভাবে দোকানের দরজা বিদ্যুতের সংস্পর্শে চলে আসে। কিন্তু তা বুঝতে পারেননি সুমন্তী দেবী। আর তা থেকেই বিপত্তি। দেখা মাত্রই তাঁকে বাঁচাতে ছুটে যান আরও দু’জন। কিন্তু, তাঁরাও বিদ্যুতের ছোঁয়াচে চলে আসেন। সামান্য আহতও হন। তবে শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো যায়নি সুমন্তী দেবীকে। পুজোর আবহে শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। এদিকে ঘটনার পরেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন এলাকার লোকজন।
এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, এলাকায় ঠিকঠাক কোনও ড্রেনেজ সিস্টেম নেই। বর্ষা নামতেই লাগাতার এলাকায় জল জমে যাচ্ছে। কিন্তু কবে এই জল নামবে তার কোনও ঠিক নেই। তাঁদের দাবি, কাউন্সিলরকে বলেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। এদিকে মহালয়ার পরেই প্রবল বৃষ্টির সাক্ষী ছিল গোটা কলকাতা। একরাতের বৃষ্টিতে জল থইথই অবস্থা হয়েছিল গোটা শহরের। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল কমপক্ষে ৯ জনের। জল সরাতেও পরবর্তীতে শহর সংলগ্ন এলাকায় মৃত্যুর ছবি সামনে এসেছিল। ৯ মৃত্যু থেকেও কোনো শিক্ষা নেয় নি রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর বা CESC। মানুষ বলছেন আর কত মৃত্যু দেখতে হবে!