বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
রেশন দুর্নীতি মামলায় সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে ইডির আধিকারিকদের রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলনেতা কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন অমিত শাহের পাশাপাশি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে। এদিন সেই ঘটনা নিয়েই তৃণমূল সরকারকে নিশানা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
ইডির আধিকারিকদের ওপরে হামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, এরা বিচারপতির বাড়ির বাইরে পোস্টার মারছে, বিচারপতিদের ভয় দেখাচ্ছে। সুযোগ পেলে তারা বিচারপতিদের ওপরেও হামলা করবে বলে মন্তব্য করেছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, এদিনের ঘটনা রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির জন্য ফিট কেস। তিনি এদিন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূল সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেন।
অধীর চৌধুরী এদিন আরও বলেছেন, ক্ষমতাসীন সরককারের গুণ্ডারা যখন ইডির আধিকারিকদের ওপরে হামলা করে, তখনব স্পষ্ট যে দেশে কোনও আইনশৃঙ্খলা নেই। আজ আক্রমণ করেছে, কাল তারা খুনও করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। আর এটা ঘটলে তিনি বিষ্মিত হবেন না বলেও মন্তব্য করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
অন্যদিকে এদিনের ঘটনাকে তৃণমূলের তরফে স্বতঃস্ফূর্ত বলে মন্তব্য করা হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে স্থানীয় জনগণকে উস্কানি দিয়েছিল, তারই প্রতিক্রিয়া এদিনের ঘটনা। তিনি এদিনের ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন। শুভেন্দু অধিকারী নাম উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ক্যামেরার সামনে যাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তেমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত এদিন ভোর থেকে রেশন দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান শুরু করে ইডি। সেই তালিকায় ছিল সন্দেশখালির দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শেখ শাহজাহানও। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরে দরজা না খোলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা শেখ শাহজাহানের দরজার তালা ভাঙতে যান। সেই সময় এলাকা ঘিরে ফেলে শেখ শাহজাহানের অনুগতরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় তিন ইডি আধিকারিকের মাথা ফাটে। ইডির দলে অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টরও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
হামলা থেকে বাদ যায়নি সংবাদ মাধ্যম এবং তাদের গাড়িও। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের ওপরে হামলা করা হয়। পরে হামলায় আহত ইডির আধিকারিকদের কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।