বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ ও নীলাদ্রি ঘোষের বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশিট দাখিল করেছিল। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হল না কেন? প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি ঘোষের বিরুদ্ধে অবিলম্বে চার্জ গঠন করতে হবে। বিচার প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করতে হবে।এমনই নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। নিম্ন আদালতের কাছেও বার্তা দিয়েছেন বিচারপতি।
যদি এই তিনজন নতুন করে কোনও আবেদন নিম্ন আদালতে করেন। তাহলে সেই আবেদন খতিয়ে দেখে হাইকোর্টের কাছে পাঠাতে হবে। নিম্ন আদালত সেই বিচার করতে পারবে না। এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
ধৃত এই তিনজন নতুন আবেদনের নামে মূল মামলা বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন। মঙ্গলবার এমনই পর্যবেক্ষণ বিচারপতির। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলায় গত ২১ ডিসেম্বর রিপোর্ট দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আজ মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট পড়ে দেখেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ ও নীলাদ্রি ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হয়েছিল। গত বছরের ১৮ মে এই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। কিন্তু চার্জ গঠন করা যায়নি। এ কথা জানায় সিবিআই। এর কারণ জানতে চান বিচারপতি। তদন্তকারীদের তরফে জানানো হয়, নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসে নিম্ন আদালতে ধৃত এই তিন জন বিভিন্ন আবেদন করেন। সেই আবেদন বিচারাধীন থাকায় আর অগ্রগতি হয়নি।
এরপরেই নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দ্রুত চার্জ গঠন করতে হবে ওই তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে এস. বাসু রায় এন্ড কোম্পানির দুই আধিকারিক পার্থ সেন ও কৌশিক মাঝির বিরুদ্ধে অবিলম্বে চার্জশিট দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর এই দুই আধিকারিক মনে করতে পারেন, তারা কোনও নথি পাননি। সেজন্য ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন জানাতে হবে। এছাড়াও এই দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ হওয়ার পর দ্রুত চার্জ গঠন করতে হবে। এমনই নির্দেশ আদালতের।
আগামী ১৪ জানুয়ারির আগেই এস. বাসু রায় এন্ড কোম্পানির দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হবে। দুর্নীতির ক্ষেত্রে এই দুজন খুব গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এদিন আদালতে দাবি করেছে সিবিআই। আগামী ১১ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।