বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
তুমি তোয়ালে পেঁচিয়ে টাকা নিয়েছ, আয়নায় মুখটা দেখছ? ইডি তল্লাশি শেষ হতেই এভাবে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন সুজিত বসু। শুক্রবার প্রায় দীর্ঘ ১৩ ঘন্টার তল্লাশি চলে। সুজিত বসুর বর্তমান বাড়ি সহ লেকটাউনের একাধিক জায়গাতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
আর এই দীর্ঘ তল্লাশি (west Bengal Recruitment Scam) শেষ হয় রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ। আর এরপরেই বাড়িতে থাকা মা কালীর পুজো করে এবং বিবেকানন্দের গলায় মালা পরিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বসে যান রাজ্যের মন্ত্রী। আর সেই সাংবাদিক বৈঠক থেকে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। একই সঙ্গে নাম করে শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যত রণং দেহী মেজাজে আক্রমণ করতে শুরু করেন সুজিত বসু।
তাঁর কথায়, গলা ফাটিয়ে অনেক চিৎকার করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখুন বিরোধী দলনেতা। রুমালে পেঁচিয়ে টাকা নিয়েছেন! ইডি-সিবিআই কবে তাঁকে ধরবে? প্রশ্ন তৃণমূল নেতার।
এদিন সকালে সুজিত বসু, তাপস রায়ের বাড়িতে ইডির তল্লাশি নিয়ে কড়া আক্রমণ শানান শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, পুন্যদিনে শুভ কাজ করতে নেমেছে ইডি। ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন সঙ্গে শীত বস্ত্রও রাখবেন। সময় হয়ে এসেছে।’ রাতের সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিরোধী দলনেতাকে পালটা দেন সুজিত। বলেন, হ্যাঁ, শীতের পোশাক গুছিয়ে রাখছি। চার দিন গঙ্গাসাগরে থাকব। বিজেপি বেশিদিন তোমাকে বাঁচাতে পারবে না বলেও মন্তব্য দমকলমন্ত্রীর।
শুধু তাই নয়, রোল বিক্রেতা বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তা নিয়েও জবাব দিয়েছেন সুজিতবাবু। তাঁর কথায়, আমি রাজনীতির লোক বলে ওকে মনে করি না। সুজিত বোস রোল বিক্রি করত। আর তা গর্বের সঙ্গে করতাম। কিন্ত্যু কারোর পকেট কাটিনি। আর এহেন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেন্দু অপমাণ করেছেন বলে দাবি তৃণমূল নেতার। কারণ প্রধানমন্ত্রীও চা বিক্রি করত।
এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কার্যত মেজাজ হারিয়ে একটা সময় শুভেন্দুকে ‘গাড়োল’ বলেও আক্রমণ করেন। সুজিতের কথায়, গাড়োল গুলো যতদিন বিজেপিতে থাকবে বিজেপিটা বাংলায় দাঁড়াতে পারবে না। তবে বিজেপিতে কোনও দিন প্রতিষ্ঠিত শুভেন্দু হতে পারবে না বলেও দাবি।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেন্দুর চোর মন্তব্য নিয়েও জবাব দিয়েছেন দমকলমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ওখান থেকে বড় হয়েছ। সুযোগ-সুবিধা নিয়েছ। একদিন কেলেঙ্কারি শুভেন্দুরও বেরোবে বলে দাবি।