বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
ভারতের সংসদে হামলার পরে ২২ বছর কেটে গিয়েছে। ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বরের সেই ঘটনা দেশের গণতন্ত্রের ভিত্তিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এদিন নয়াদিল্লিতে সেদিনের সেই ঘটনায় মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার স্পিকার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ অন্য বিশিষ্টজনেরা।
পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা সেই হামলার নেতৃত্ব দেয়। সেদিনের হামলায় নয়জনের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ছয়জন ছিলেন নিরাপত্তা কর্মী, দুজন সংসদ ভবনের নিরাপত্তা কর্মী এবং একজন মালি। তৎকালীন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোকসভায় দেওয়া ভাষণে ওই হামলার জন্য লস্কর এবং জৈশকে দায়ী করেছিলেন।
২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর পাঁচ অস্ত্রধারী জঙ্গি জাল ভিআইপি কার্ড এবং লালবাতির গাড়ি ব্যবহার করে সংসদ ভবন চত্বরে প্রবেশ করে। সংসদ মুলতুবি হওয়ার ৪০ মিনিট পরে ওই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে। সেই সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং বিরোধী নেত্রী সনিয়া গান্ধী বেরিয়ে গিয়েছিলেন। .তবে সংসদ ভবনের ভিতরে ছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আডবানি-সহ প্রায় ১০০ জন সাংসদ।
সংসদ ভবনে হামলাকারী পাঁচ জঙ্গির সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় একঘন্টা গুলি যুদ্ধ চলে। শেষপর্যন্ত ছয় নিরাপত্তা কর্মী-সহ নয়জনের প্রাণের বিনিময়ে পাঁচ জঙ্গির মৃত্যু হয়। জঙ্গিদের কেউই সংসদ ভবনের ভিতরে ঢুকতে পারেনি।
সিআরপিএফ জওয়ান সন্তোষ কুমার সেদিন পাঁচ জঙ্গির মধ্যে তিনজনকে গুলি করে মারেন। উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা সন্তোষ কুমারের বয়স সেই সময় ছিল ২১ বছর। সিআরপিএফে যোগদানের ছয়মাসের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।
এই হামলার তদন্তে দেখা যায় সংসদ ভবন কমপ্লেক্সে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল না। তদন্তে আফজল গুরু, অধ্যাপক এসআর গিলানি, শওকত হুসেন, তাঁর স্ত্রী আফসান গুরুকে অভিযুক্ত করা হয়। আফসান প্রথমেই মুক্ত হয়ে যান। অধ্যাপক গিলানিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও ২০০৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে মুক্ত করে দেয়। তবে ২০১৩ সালে আফজল গুরুকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।
সেদিনের সেই ঘটনা ভারত ও পাকিস্তানকে যুদ্ধের মধ্যে ঠেলে দেয়। তবে এব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।