Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার হয়েই প্রতিনিধিত্ব করেন দীপ্তি শর্মা। জাতীয় দলেও তিনি বঙ্গ প্রতিনিধি। এমনকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সাফল্য পেয়েছেন । এবার তিনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিএসপি হলেন ভারতীয় দলের এই মহিলা ক্রিকেটার । বাংলার হয়ে খেলা দীপ্তি শর্মার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য পেলে মহিলা ক্রীড়াবিদদের চাকরি দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। তারই অঙ্গ হিসাবে রাজ্যের মেয়েকে পুলিশের উচ্চপদে নিয়োগ করল উত্তরপ্রদেশ সরকার।একইসঙ্গে গত হ্যাংঝোউ এশিয়ান গেমসে সোনা জেতার জন্য ৩ কোটি টাকার চেকও তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেললেও দীপ্তি উত্তরপ্রদেশের খেলোয়াড় । উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় জন্ম দীপ্তির। সেখানেই তাঁর ক্রিকেটের হাতেখড়ি।সেই সূত্রেই চাকরি পেয়েছেন দীপ্তি।ভারতের হয়ে ৪টি টেস্ট, ৮৬টি এক দিনের ম্যাচ এবং ১০৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন দীপ্তি । ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক মহিলা ক্রিকেটে সাফল্য পেয়েছেন তিনি । তার পুরষ্কার হিসেবে পেয়েছেন ২০২৩ সালে সেরা মহিলা ক্রিকেটারের সম্মান।
মঙ্গলবার মহিলাদের টি-টোয়েন্টি-র ক্রম তালিকা প্রকাশিত করেছে আইসিসি। ভারতের অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মা আইসিসি মহিলাদের টি-টোয়েন্টির ক্রমতালিকায় একধাপ উঠে এসেছেন। আইসিসি মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বোলিং ক্রমতালিকায় যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছেন দীপ্তি। পাকিস্তানের সাদিয়া ইকবাল এবং দীপ্তি শর্মা টি-টোয়েন্টি বোলিং ক্রমতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। অলরাউন্ডারদের তালিকায় সেরা দশে কোনও পরিবর্তন হয়নি। এতে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন দীপ্তি শর্মা।

বাংলায় জন্ম না হলেও ক্রিকেটের সূত্রেই দীপ্তির সঙ্গে বং কানেকশান তৈরি হয়েছে। কিন্তু জানেন কী ভারতীয় দলে দীপ্তির আছে একটি ছদ্মনাম। সেই নামের বাংলার ক্রিকেটারকে ডাকেন সতীর্থরা।
কোচ অমল মজুমদার জানিয়েছেন, ‘ফিল্ডিং অনুশীলন করার সময় দীপ্তিকে নিয়ে সবসময় সতর্ক থাকতে হয় আমাদের দলের ক্রিকেটারকে। কারণ দীপ্তি খুব জোরে থ্রো করতে পারে। আমি সবাইকে সম্মান জানিয়েই বলছি, এর আগে কোনও মহিলা ক্রিকেটারকে এত জোরে থ্রো করতে দেখিনি। আর তাই ওকে আমরা সবাই বেন স্টোকস নামে ডাকি।’

সাম্প্রতিক সময়ে অলরাউন্ডার হিসাবে নিজেকে সুনামের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত করেছেন দীপ্তি শর্মা। বাংলা দল হোক বা ভারতীয় দল যেখানেই খেলেছেন নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। ব্যাটিং-বোলিং উভয় বিভাগেই দক্ষতার সঙ্গে পারফরম্যান্স করেছেন তিনি।এবার রাজ্য পুলিশের উচ্চপদেও বসলেন দীপ্তি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *