বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে তত রাজনৈতিক সমীকরণের রং বদলাচ্ছে। পাহাড়ে এবার একেবারে অন্যরকম ভোটের মেজাজ। দার্জিলিং এবারে লোকসভা ভোটে হাইভোল্টেজ কেন্দ্রে পরিণত হতে চলেছে। প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বিজেপির অন্দরে দ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে পাহাড়ে।
এরই মধ্যে আবার জেগে উঠেছে পৃথক গোর্খা ল্যান্ডের দাবি। হামরো পার্টি এবার হাত মেলাল ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে। আর তাতেই আরও জমে গিয়েছে খেলা। এদিকে আজই শাসক দলের প্রার্থী গোপাল লামা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তাকে নিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে িগয়ে ইন্ডিয়া জোটে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দেন হামরো প্রার্টির প্রধান অজয় এডওয়ার্ড। পাহারে পুরভোট থেকে হামরো পার্টির উত্থান। হঠাৎ করে পাহাড়ের এই নতুন দলকে নিেয় রীতিমতো হইহই পড়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। স্থানীয় ব্যবসায়ী অজয় এডওয়ার্ড। দার্জিলিংয়ের এক নামি হোটেলের মালিক তিনি। পাহাড়ের মানুষের কথা সামনে রেখেই নিজের দল গড়েছিলেন তিনি। এবং অজয় এডওয়ার্ডকে সমর্থন জানিয়েছিলেন পাহাড়বাসীও।
প্রথম নির্বাচনে লড়েই পুরবোর্ড গঠন করেছিল হামরো পার্টি। যদিও সেটি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। একে একে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কাউন্সিলররা। শেষে দার্জিলিং পুরোবোর্ড হাতছাড়া হয় হামরো পার্টির। কিন্তু অজয় এডওয়ার্ড হাল ছাড়েননি। পাহাডের মানুষের কথা ভেবে তিনি লড়াই জারি রেখেছেন। লোকসভা ভোটে যধন পাহাড়ের ভূমিপুত্র নিয়ে সব রাজনৈতিক দলই তৎপর হয়েছে।
বিশেষ করে বিজেপির অন্দরে যখন প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তখন সেই সুযোগকে হাতছাড়া করতে চায়নি কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর হাত ধরে বিনয় তামাং যোগ দিয়েছে কংগ্রেসে। একটা সময়ে গুরুংয়ের পরিবর্তে পাহাড়ে শাসক দলের হয়ে পতাকা ধরেছিলেন বিনয় তামাংই। কিন্তু গুরুং ফিরে আসতেই বিনয় কোনঠাসা হতে শুরু করেন। তারপরেই তিনি যোগ দেন কংগ্রেসে। সেই বিনয়ই সম্ভবত এখানে অনুঘটকের কাজ করেছে।
হামরো পার্টির ইন্ডিয়া জোটে সামিল হওয়ায় পাহাড়ে শক্তি বাড়ল কংগ্রেসের। এদিকে পর পর তিনবার যে কেন্দ্র বিজেপি জিতে এসেছে এবার বিজেপি সেই কেন্দ্রে চাপে রয়েছে। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় ভোট দেবেন দার্জিলিং। কাজেই এখন প্রচারের পারদ চরমে উঠেছে।