Spread the love

মদনমোহন সামন্ত, কলকাতা, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ :—স্টাইপেন্ড না পেয়ে পড়াশোনা লাটে উঠতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স অফ ফার্মেসি’র পড়ুয়াদের। তারা অথৈ জলে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ইউজিসি কর্তৃপক্ষের টানাপড়েনের মাঝে পড়ে তারা অসহায় বোধ করছে।

বুঝতেই পারছে না কী কারণে তাদের এই অবস্থা! তাই তারা আন্দোলনে নেমেছে। আন্দোলন মূলত স্টাইপেন্ড প্রক্রিয়া চালুর দাবিতে, সেই সঙ্গে কোথাকার অসহযোগিতার ফলে তাদের এই দুর্দশা তা বুঝে তার আশু প্রতিবিধানের উপায় খুঁজে বলবৎ করতে।

বৃহস্পতিবার মাস্টার্স অফ ফার্মেসি’র পড়ুয়ারা প্রথমে তাদের বিভাগীয় ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করলেও পরে তারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাসের মূল প্রশাসনিক কেন্দ্র অরবিন্দ ভবনে পৌঁছয়। সেখানে তারা তাদের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ করে সহ উপাচার্যের কাছে। তাঁর সঙ্গে আলোচনা চলে। সেই সঙ্গে তাঁর অফিসের বাইরে চলতে থাকে অবস্থান বিক্ষোভ।

পড়ুয়াদের তরফে জানানো হয়, “আমরা মাস্টার্স অফ ফার্মেসির প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রী। আমরা জিপ্যাট ২০২৩ উত্তীর্ণ হয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন প্রথম বর্ষে পাঠরত। আমাদের প্রাপ্য স্টাইপেন্ড কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য আটকে আছে। আমরা গত ছয় মাস যাবৎ কর্তৃপক্ষের কাছে অনেকবার যাওয়া সত্ত্বেও ওনাদের তরফ থেকে কোনও সমাধান পাই নি।” তাদের আরও বক্তব্য, “আমাদের এই স্টাইপেন্ড ছাড়া মাস্টার্স অফ ফার্মেসি পাঠক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে এসেছি। আমাদের স্টাইপেন্ড-এর অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের ধর্না চলবে।”

তাদের অভিযোগ, “আমরা যতবার আসছি আমাদেরকে ইউজিসি সাড়া দিচ্ছে না বলে বিভিন্ন দিকে আমাদের নজর ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা পড়ুয়া, আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় দিল্লি গিয়ে ইউজিসি’র দফতরে কথা বলে এর সমাধান করা। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তব্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তব্য, পড়ুয়াদের সমস্ত রকম অসুবিধার সমাধান করা। যেটার অভাব আমরা বিগত ছয় মাস যাবৎ অনুভব করছি।”

তাদের চাপে সহ উপাচার্য দ্রুত ইউজিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগে সমর্থ হন। এবং তাঁদের প্রাথমিক আলোচনা অনুসারে আগামী দু’দিনের মধ্যে একটি সমাধান সূত্র খোঁজার চেষ্টা চলবে। পড়ুয়াদের তরফে জানানো হয়েছে, আজকের কথামতো আগামী দু’দিনের মধ্যে সমাধান সূত্র বের না হলে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে প্রস্তুত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *