বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর ডাক এনডিএ-কে জিততে হবে চারশোর বেশি আসনে। তা করতে গেলে বিজেপিকে ৩৭০-এর বেশি আসন জিততে হবে, তা নিয়ে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী রাজ্য সফরও শুরু করেছেন। তারই মধ্যে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ১৭ টি রাজ্যের লোকসভার আসন নিয়ে আলোচনা হয়। এই বৈঠক চলে প্রায় চার ঘন্টা।
বৈঠকটি হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে। ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এছাড়াও ছিলেন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্য নেতারা। ওই বৈঠকে এনডিএ শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দিন কয়েকের মধ্যে বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে। অনেক মন্ত্রী কিংবা সাংসদকে টিকিট নাও দেওয়া হতে পারে। যা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সূত্রের খবর এবার বিজেপির অন্তত ৭০ থেকে ৭৫ জন সাংসদকে বদল করা হতে পারে। এছাড়া হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তর প্রদেশ ও বিহারের কিছু মন্ত্রীকে টিকিট নাও দেওয়া হতে পারে।
সূত্রের আরও খবর, তিন মার্চ বিদায়ী মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠক হতে চলেছে। তারপরেই টিকিট কাটার খবর প্রকাশ্যে আসতে পারে। পাশাপাশি পরপর দু’বার জিতেছেন এরকম বয়স্ক সাংসদদের সরিয়ে নতুন মুখও আনা হতে পারে।
উল্লেখ করা যেতে পারে ২০১৯-এও প্রধানমন্ত্রী মোদীর টিকিট দেওয়ার সূত্র প্রায় একই ছিল। ২০১৯-এ ৯৯ জন সাংসদ পরপর দু’বার জিতেছিলেন। সেই ৯৯ জনের মধ্যে ৪৪ জনকে টিকিট দেওয়া হয়নি। সেইরকমই ২০২৪-এ বিজেপির ১৪৯ জন সাংসদ রয়েছেন, যাঁরা পরপর দু’বার নির্বাচনে জয় পেয়এছেন। এই ১৪৯ জনের মধ্যে কমবেশি ৭০ জনকে টিকিট নাও দেওয়া হতে পারে।
তার মধ্যে রয়েছে নমো অ্যাপে প্রতিক্রিয়া। প্রার্থী নির্বাচন করতে নমো অ্যাপে সাধারণের প্রতিক্রিয়া নেওয়া হয়েছে।
জনসাধারণের কাছে নিজের নিজের এলাকার তিন জনপ্রিয় বিজেপি নেতার নাম জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল।
এছাড়া গত দুই বছর ধরে বিজেপি সাংসদদের কাছ থেকে এলাকায় তাঁদের কাজ নিয়ে রিপোর্ট আগেই নেওয়া হয়েছিল।
এছাড়া সমীক্ষা চালানো সংস্থাগুলির থেকে প্রতিটি সংসদীয় এলাকার রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে।
আগেই নজর দেওয়া হয়েছিল বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। সেখানকার মন্ত্রীদের প্রতিটি সংসদীয় এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারপর রিপোর্টও সংগ্রহ করা হয়েছে।
রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে রাজ্য ভিত্তিক নির্বাচন কমিটির থেকেও।
একেবারে নিচুতলায় আরএসএসের থেকেও রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে।