Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক  শনিবার তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে। নাম ঘোষণার পরে তিনিও খুশি চেপে রাখতে পারেননি। আর রবিবার সেই পবন সিং ঘোষণা করলেন, তিনি আসানসোল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। উল্লেখ্য যে আসানসোল আসনে পবন সিংয়ের বিরুদ্ধে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রার্থী আরেক বিহারীবাবু শত্রুঘ্ন সিনহা।

শনিবার পবন সিংয়ের নাম ঘোষণার পরেই আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় থেকে শুরু করে অন্যরা তাঁকে বাঙালি বিদ্বেষী বলে প্রচার শুরু করেন। মিউজিক অ্যালবামের কভার পেজ পোস্ট করে লাগাতার আক্রমণ শানায় তৃণমূল। তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পবন সিং তাঁর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন।

এদিন পবন সিং নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, তিনি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন। দল তাঁকে বিশ্বাস করেছিল এবং তাঁকে আসানসোল থেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু কিছু কারণে তিনি আসানসোল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। পবন সিং এই পোস্ট করার পরেই তা রিটুইট করে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেখানে লেখেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষের অদম্য চেতনা ও শক্তি।

এর আগে শনিবার যখন বিজেপি আসানসোল আসনের জন্য পবন সিংয়ের নাম ঘোষণা করে, সেই সময় তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, আসানসোল থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করার জন্য বিজেপির সবাইকে তিনি অভিনন্দন জানাচ্ছেন।

শনিবার বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরে পবন সিং সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, তাঁর জন্ম বাংলায়। তাঁর শরীরে সেখানকার জল ও লবণ রয়েছে। আসানসোলের মানুষের ভালবাসা তিনি পাবেন এবং জয়ী হবেন বলেও জানিয়েছিলেন।

শনিবার যখন বিজেপির তরফে দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করা হচ্ছিল তখন পবন সিং জিমে বসে মোবাইলে সেই সংবাদ দেখছিলেন। সেই সময় নিজের নাম শুনে খুশির সীমা ছাড়িয়ে যায় পবন সিংয়ের। নাম ঘোষণার পরেই পবন সিংয়ের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। এরপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকে অন্যরা উদযাপন শুরু করেন এবং তাঁকে অভিনন্দন জানাতে থাকেন। মানুষের অভিবাদন পাওয়ার পর পবন সিং জিমের কাছেই থাকা মন্দিরে সামনে যান এবং প্রার্থনা করেন।

পবন সিংকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পরে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেছিলেন, যেভাবে আসানসোলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে, তাতে অনেকে মনে করছেন, বিজেপি কেবল নিজের স্বার্থেই আগ্রহী নয়। তারা সম্ভবত বিরোধী দলের পাশাপাশি তৃণমূলের স্বার্থের কথাও ভেবেছে। বিজেপির এই চিন্তার জন্য তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *