বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:অন্ত্যোদয় রেশন প্রকল্পের আওতায় আসতে চলেছ রাজ্যের ৬৫ হাজার পরিবার। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় দরিদ্র পরিবারকে অন্ত্যোদয় রেশন কার্ড দেওয়া হয়। আর এই প্রকল্পের আওতায় যুক্ত হতে চলেছে বহু মানুষ। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে খাদ্যদফতরে একটি বৈঠক হয়।
সেখানেই এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, অন্ত্যোদয় রেশন প্রকল্পের (Antyodaya Anna Yojana) নিয়ম মেনে পরিবারগুলি চিহ্নিত করতে হবে। আর সেই নাম দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। জাতীয় প্রকল্পের আওতায় (Antyodaya Anna Yojana) রয়েছে এই অন্ত্যোদয় প্রকল্প!
আর সেই প্রকল্পের আওতায় থাকা রেশন গ্রাহকরা বেশ কিছু সুবিধা পেয়ে থাকেন। মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল-গম বরাদ্দ থাকে সাধারণ মানুষের জন্যে। আর তা পাওয়া যায় একেবারে ফ্রি’তে। কিন্তু অন্ত্যোদয় গ্রাহক কিংবা পরিবার মাসে ৩৫ কেজি করে চাল-গম পান।
আর তা সবটাই বিনামূল্যে। পরিবারে একজন-দু’জন সদস্য থাকলেও এই পরিমানও চাল কিংবা গম পাবেন। শুধু তাই নয়, ৫০০ গ্রাম করে চিনিও দেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে কেজি প্রতি ১৩ টাকা ৫০ পয়সা হারে দাম দিতে হয়। এবার এই সুবিধা পাবেন বাংলার অসংখ্য পরিবার।
বাংলা এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অন্ত্যোদয় রেশন (Antyodaya Anna Yojana) গ্রাহক পরিবারের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০৬। মোট ৫৩ লক্ষ ১৮ হাজার ৮৪৩ জন সদস্য পরিবারগুলিতে আছে বলে খাদ্য দফতরের সুত্রকে কোট করে দাবি ওই সাংবাদমাধ্যমের।
বলে রাখা প্রয়োজন, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্প অন্ত্যোদয়ের (Antyodaya Anna Yojana) আওতায় প্রত্যেক রাজ্যের কতজন মানুষ তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এই বিষয়ে ২০১৩ সালেই নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। তাতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু গত কয়েকবছরের একাধিক শূন্যস্থান কোটায় তৈরি হয়েছে। উপভোক্তার মৃত্যু সহ বিভিন্ন কারণ রয়েছে।
আর সেই শূন্যস্থান তৈরি করা হবে। আর সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা প্রাপকদের রাজ্য ভিত্তিক কোটা ঠিক করে দেয়। কিন্তু ওই কোটা থেকে কারা খাদ্য পাবে, তা ঠিক করে রাজ্য সরকারগুলি। এমনটাই প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। লোকসভার মধ্যেই এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।