বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:কেন্দ্রীয় অনুদান নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির সংঘাত নতুন কোনও বিষয় নয়। লোকসভা ভোটের আবহে সেই মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিগত কয়েক বছর ধরেই বাংলাকে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছেন। রাজ্যে এসে পাল্টা তথ্য প্রকাশ করে বাংলাকে দেওয়া কেন্দ্রের আর্থিক খতিয়ান তুলে ধরেছেন মোদী-অমিত শাহরা। এই পরিস্থিতি বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ ফের একবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ইস্যুতে নিশানা করলেন তৃণমূলকে।
ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ দিলীপ ঘোষ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন। তাঁর দাবি পশ্চিমবঙ্গের টিএমসি সরকার বারবার মিথ্যা বলেছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য কেন্দ্রের দেওয়া তহবিল সম্পর্কে মিথ্যা পরিসংখ্যান দিচ্ছে। তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিক বিবাদ থাকলেও তার জন্য বাংলাকে কখনই বঞ্চিত করা হয় না, এমন দাবি করে আসছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা। সেই সুরেই এবার রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ।
সাংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘রাজ্য সরকার বারবার মিথ্যা বলেছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য ভুল পরিসংখ্যান (কেন্দ্র কর্তৃক রাজ্য সরকারকে দেওয়া তহবিল সংক্রান্ত) দিচ্ছে। আমি বলছি যে কেন্দ্রীয় সরকার কী করছে, কী দিচ্ছে এবং রাজ্য সরকার কতটা পায় তা সহ সবকিছুই আজ প্রকাশ্যে রয়েছে।
দুনীতি ইস্যুতে ফের একবার সরব হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, সিএজি ২২৯ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি প্রকাশ করেছে, যার উত্তর রাজ্য সরকার এখনও দিতে পারেনি। ওটা গরিব মানুষের টাকা। বিশ্বব্যাংককে সরকারের আগে এর জবাব দেওয়া উচিত। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের নির্বাচনী জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করে বলেছিলেন যে কেন্দ্র রেকর্ড পরিমাণ অর্থ দেওয়ার পরেও অনেক প্রকল্প সময়মতো শেষ হয়নি।
মোদী বলেন, এখানকার টিএমসি সরকার পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের অনুমতি দেয় না। মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠাই বিজেপির পরিচয়। আমরা দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। কিন্তু টিএমসি সরকার আমাদের পশ্চিমবঙ্গে এটি করতে দেয় না। পশ্চিমবঙ্গকে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ দেওয়ার পরেও, টিএমসির কারণে অনেক প্রকল্প সময়মতো শেষ হয় না।’
নির্বাচন আসতেই বাংলায় শুরু হয় ভাষা সন্ত্রাস। এই ইস্যুতে দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণেই বাংলায় এই পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাঁর অসংসদীয় কথা বার্তার কারণেই। তার প্রভাবে রাজ্যের ছোট-বড় সব সাংসদ ও বিধায়ক এই পদ্ধতিতে কথা বলেন। এভাবে সারা বছর চলে। পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতিকে দূষিত করার অধিকার কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেয়নি।’