Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:এসএসসির মতো প্রাথমিকেও ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। ২০১৭-র টেট পরীক্ষায় অন্তত ২১ টি প্রশ্ন ভুল ছিল। যা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ওই ২১ টি প্রশ্ন আদৌ ভুল ছিল কিনা তা যাচাই করতে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।

পরীক্ষার্থীরা হাইকোর্টে করা আবেদনে বলেছিলেন, ২১ টি ভুল প্রশ্নে পুরো নম্বর তাঁদেরকে দিতে হবে। এব্যাপারে বিচারপতি তাঁর রায়ে বলেছেন, বিশ্বভারতীয় বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। প্রশ্নগুলিতে ভুল কোথায়? বিকল্প উত্তরগুলি মধ্যে আদৌ কোনও ঠিক উত্তর ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখবেন বিশেষজ্ঞদলের সদস্যরা।

২০২২-এর জুলাইয়ে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই সময় বাংলা, পরিবেশ বিদ্যা-সহ বিভিন্ন বিষয়ের আটটি প্রশ্ন ভুল রয়েছে বলে সেই সময় আদালতে অভিযোগ করা হয়েছিল। আদালতের কাছে এক মামলাকারীর আইনজীবী প্রশ্ন করেন, প্রতিবার কেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ভুল করে? তিনি অভিযোগ করেছিলেন, এ রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এক মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত আদালতের কাছে আবেদন করেন, ওই পরীক্ষার ১৫০ টি প্রশ্নের উত্তর খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হোক। তিনি অভিযোগ করেন, এই নিয়ে তিনটি টেট পরীক্ষার প্রশ্নে ভুল সামনে এসেছে। পরে এই মামলা বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজনাসে স্থানান্তরিত হয়।

এর আগে গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্কুল সার্ভির কমিশনের নিয়োগ মামলায় নজিরবিহীন রায় দেয়। দুর্নীতির অভিযোগের জেরে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। এর ঠিক দুই দিন পরে বুধবার প্রাথমিকের টেট নিয়ে বিশেষজ্ঞদল গঠনের নির্দেশ দিল আদালত। নির্দেশ অনুযায়ী এই বিশেষজ্ঞ দল গঠন করবেন বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ খতিয়ে দেখে আগামী একমাসের মধ্যে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে তাদের রিপোর্ট জমা দেবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে জুনের প্রথম সপ্তাহে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *