Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম অবৈধ নিয়োগের কথা আদালতে মানল SSC। মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টে এসএসসি জানিয়েছে ১৯ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ বৈধ। তার প্রমাণ তাঁদের কাছে রয়েছে।

আর ৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ অবৈধ এবং তাদের হয়ে সওয়াল করবে না এসএসসি। তবে তাঁদের বেতন ফেরতের নির্দেশে আপত্তি জানিয়েছে এসএসসি।

মঙ্গলবার সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলার সওয়াল জবাব শুরু হয়। তাতে রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয় নিয়োগের সম্পর্ণ সিদ্ধান্ত এসএসসির। তাতে রাজ্যের কোনও ভূমিকা নেই। এসএসসির পক্ষ থেকে সওয়াল জবাব শুরু হলে প্রথমে নিয়োগের পরিসংখ্যান পেশ করে তারা। প্রধান বিচারপতি এসএসসির কাছে জানতে চায় নাইসাকে টেন্ডার ডেকে বরাত দেওয়া হয়নি। এমনই অভিযোগ রয়েছে।

ওএমআর শিট স্ক্যান করাতে থার্ড পার্টিকে কেন দেওয়া হয়েছিল বরাত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতি। কমিশনের তরফে জানানো হয় নাইসাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, অন্য কাউকে দায়িত্ব দিতে না পারলে কীভাবে OMR শিট বাইরে নিয়ে গেল তারা।ষ নিয়োগ কারী সংস্থাকেই আবার কেন দায়িত্ব দেওয়া হল ?

প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন কীভাবে বরাত দেওয়া সংস্থা থার্ড পার্টিতে ওএমআর শিট স্ক্যান করার দায়িত্ব দেয়। দেখে মনে হচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিকল্পিত জালিয়াতি হয়েছে। ২০১৬ সালের প্যানেলে কীভাবে ২০২২ সালে শিক্ষক নিয়োগ করা হল তা নিয়ে এসএসসিকে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। নাইলা সা থার্ড পার্টিকে নিয়োগ করা হলেও স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে কেন ওএমআর শিটের কপি স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে থাকবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি।

এদিকে আদালতে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের বিরোধিতায় সওয়াল করতে গিয়ে কমিশন জানিয়েছে মাথা ব্যাথা হলে পুরো মাথা বাদ দিতে হয় না। মাথা ব্যাথার ওষুধ দিতে হয়। অর্থাৎ নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে এতো জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা ঠিক নয়। কারা যোগ্য কারা অযোগ্য তার পার্থক্য জানাতে রাজি হয় কমিশন। এবং আদালতে এই প্রথম ১৯ হাজার চাকরি বাতিলের কথা জানায় এসএসসি। এতোদিন তাহলে হাইকোর্টে কেন তারা এই তথ্য দেয়নি এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এদিকে চাকরিহারারা এখনও অনশন জারি রেখেছেন। তাঁরা অভিযোগ করেছেন কমিশন কেন আগে তথ্য পেশ করেনি। কেনই বা প্যানেলের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও নিয়োগ করা হল। এই নিয়ে সওয়াল করেছেন তাঁরা। এদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদও আদালতে কমিশনের আর্জিকে সমর্থন জানিয়েছে। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করা ঠিক হয়নি বলে আদালতেও জানিয়েছে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *