Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:সপ্তম তথা শেষ দফায় বাংলার নটি আসনে ভোট। যার সবগুলোই দক্ষিণবঙ্গে এবং কলকাতার লাগোয়া। এই এলাকা অর্থাৎ কলকাতা ও বৃহত্তর কলকাতার জনগণের কাছে ভোট দেওয়ার আগে ভেবে দেখতে আবেদন করেছেন বিরোধী দলনেতা।

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি শাসক তৃণমূলের পাশাপাশি কলকাতা ওআশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া সিইএসসিকে নিশানা করেছেন।

নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বিরোধী দলনেতা বলেছেন, ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন তৃণমূলকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কয়েকশো কোটি টাকা দিয়েছে। সেই সিইএসসি পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশনের কাছে জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্য সংশোধনের জন্য আবেদন করেছিল, যা গৃহীত হয়েছে।

যার ফলে সিইএসসি বিপুল পরিমাণ অর্থ গ্রাহকদের থেকে আদায় করতে তৈরি হচ্ছে। এই প্রক্রিয়াও চুপি চুপি শুরু হয়ে গিয়েছে। এতে গ্রাহকরা চরম বিপদে পড়বেন বলেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় ব্যবসা করতে অন্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাগুলিকে অনুমতি না দিয়ে সিইএসসিকে একচেটিয়া বাজার দখলে সাহায্য করেছেন। এর ফলে সিইএসসির পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও লাভবান হচ্ছেন বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মালিকানাধীন হলদিয়া এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেড তৃণমূলকে ২৮১ কোটি টাকার ওপরে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে সাহায্য করেছে।

তিনি বলেছেন, সিইএসসি যখন ইচ্ছা যে কোনও উপায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে নিচ্ছে। সরকারও বিষয়টি নিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে রয়েছে. কারণ ভাগের অঙ্কই হোক কিংবা চাঁদা কিংবা অনুদান সঠিক সময়ে তাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।

বিরোধী দলনেতা বলেছেন, এর ফলে ক্ষতি হচ্ছে শহর কলকাতা এবং বৃহত্তর কলকাতা এলাকার বসবাসকারী সাধারণ মানুষের। তিনি এব্যাপারে আগামী পয়লা জুন সপ্তম দফার নির্বাচনের আগে বিগত ১৩ বছরে বিদ্যুতের দাম কী ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা ভেবে দেখতে অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেছেন, পুরনো বিল বের করে এখনকার বিলের সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন, তফাত দেখেই চমকে উঠবেন, বলেছেন তিনি।

আক্রমণ শানিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেছেন, তৃণমূলকে চাঁদা দিয়ে জনগণের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে দিব্যি ব্যবসা চলছে। তিনি আরও বলেছেন, বাম আমলে বপন করা বীজ তৃণমূলের সময়ে মহীরুহে পরিণত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *