বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: একদিকে তীব্র দাবদাহ, অন্যদিকে প্যাঁচপ্যাঁচে গরমে অতিষ্ট বাঁকুড়ার মানুষ। ফলে সকাল থেকে প্রায় এক প্রকার স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী মানুষ। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে বাঁকুড়ার বাজার গুলিতে। সব থেকে বেশী সমস্যায় পড়ছেন পাইকারী ও খুচরা সবজি বিক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া শহরের মাচানতলা ও চক বাজার ঘুরে দেখা গেল, ব্যবসায়ীরা পসরা সাজিয়ে বসে থাকলেও সেভাবে খদ্দেরের দেখা নেই। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তীব্র গরমে (HeatWave) খদ্দেরের দেখা নেই, ফলে বেচা-কেনা প্রায় নেই বললেই চলে। বেশীরভাগ শাক সব্জী পচতে শুরু করেছে। ফলে তারা সমস্যায় পড়ছেন।
এদিন প্রতি কেজি বেগুন, শশা, পটল, করলা, বরবটি, মুলা ৩০ টাকা, ভেণ্ডি, ঝিঙ্গা,লাউ ১৫ টাকা, টমেটো ৫০, ক্যাপসিকাম ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সমস্যায় সবজি চাষীরাও। তাঁদের কথায়, চাষের খরচ বেড়েছে, কিন্তু উৎপাদিত সবজির দাম নেই।
অন্যদিকে অনাবৃষ্টি জনিত কারণে যা ক্ষতি হওয়ার তো হচ্ছেই (HeatWave) বলে তারা জানিয়েছেন।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বুধবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই খবর। যদিও বেশ কিছু জেলার জন্য স্বস্তির খবর। বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণবঙ্গের জন্য যে আবহাওয়ার (West Bengal Weather) পূর্বাভাস রয়েছে তাতে বৃষ্টির কথ বলা হয়েছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার কোথাও কোথাও হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে বলে জানানো হয়েছে।