বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:ভোট মিটল বিক্ষিপ্ত অশান্তি নিয়েই। দেড় মাস ধরে রাজ্যে রাজনৈতিক মহল তোলপাড়। গতকাল শেষ দফায় ভোট দিল মহানগর। মোটের উপর শান্তিপূর্ণই ছিল কলকাতা শহরের ভোট। তেমন অশান্তির ঘটনা কোথাও ঘটেনি। জেলায় অশান্তির খবর মিলেছে।
তবে এবারের ভোটে শাসক দলের অনেক হেভিওয়েট নেতাই ভোট দিতে পারেননি। গত লোকসভা ভোটে তাঁরা দাপিয়ে ভোট করেছিলেন। সেই তালিকায় যেমন রয়েছেন বীরভূমের কেষ্ট। তেমনই রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। এঁরা কেউ এবার আর ভোটের লাইনে দাঁড়াননি।
একুশের বিধানসভা ভোটের পরেই নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্তে তৎপর হয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এবং সকলের ভাবনাচিন্তার উর্ধ্বে গিয়েই রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর ঘনিষ্ঠের বাড়িতে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। তারপর থেকে জেলেই রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গত লোকসভা নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী কাজে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
শুধু পার্থ চট্রোপাধ্যায় নন রেশন দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন আরেক মন্ত্রী। রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। গত লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পদে ছিলেন তিনি। ভোট করিয়েছিলেন মেজাজে। এবার আর তাঁকে দেখা যায়নি ভোটের ময়দানে।
অন্যদিকে বীরভূমের দোর্দণ্ড প্রতাপ জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ছাড়াই এবার ভোট হয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনেই কমিশনের বিশেষ টিম ঘুরেছে বীরভূমে। এবার একেবারে ঠান্ডা ভোট হয়েছে সেখানে। কোথাও শোনা যায়নি ঢাকের চড়াম চড়াম শব্দ। দিল্লিতে তিহাড় জেলে রয়েছেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা। এককথায় এবার ভোটের লাইনে অনেক হেভিওয়েটকেই দেখা যায়নি।