বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:ইউজিসি-নেট পরীক্ষা বাতিলকে ঘিরে ব্যাপক বিতর্কের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রক বলেছে, পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়েছে, কারণ এব্যাপারে ইউজিসি কিছু তথ্য পেয়েছিল। সততার সঙ্গে আপোস করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে শিক্ষামন্ত্রক।
এদিন শিক্ষামন্ত্রকের যুগ্ম সচিব গোবিন্দ জয়সওয়াল বলেছেন, সরকার এব্যাপারে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করবে না।
শিক্ষামন্ত্রকের যুগ্ম সচিব গোবিন্দ জয়সওয়াল বলেছেন, নেট পরীক্ষার জন্য সারা দেশে দশ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী নাম নথিভুক্ত করেছিল। কিন্তু ভারতীয় সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার থেকে পাওয়া ইনপুটের ওপরে ভিত্তি করে ওই পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বিষয়টির তদন্তের জন্য সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে নতুন পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য শীঘ্রই জানানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রকের ওই কর্তা।
তিনি আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন, মন্ত্রণালয় অন্যায়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করবে না। শিক্ষা মন্ত্রকের কর্তা বলেছে, এই মুহূর্তে যখন তদন্ত চলছে, সেই সময় এর থেকে বেশি আর কিছু বলা সম্ভবপর নয়। এনটিএ-র নিজেস্ব ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে অনেকেই যুক্ত এবং পুরো বিষয়টি তদন্তের অধীন বলে জানিয়েছেন তিনি।
নেট পরীক্ষাও পরিচালনার দায়িত্বে ছিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। ইতিমধ্যেই এই সংস্থা নিট-ইউজি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে সমালোচিত হয়েছে। প্রায় ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল। এই পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে দেশব্যাপী বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। পুনরায় নিট পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনও চলছে বিভিন্ন জায়গায়।
শিক্ষামন্ত্রকের কর্তা বলেছেন, এবার নেট পরীক্ষা ওএমআর শিটে নেওয়ার কথা হয়েছিল। গত চার বছরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবং বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া ইনপুটের ওপরে ভিত্তি করে পরীক্ষা ওএমআর শিটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ইউজিসি-নেট হল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদের যোগ্যতা নির্ধারণ ও গবেষণা করার জন্য একটি পরীক্ষা।
এদিকে নিট নিয়ে ওঠা অভিযোগের মধ্যে নেট পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় বিষয়টি সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধী হাতে রসদ জুগিয়েছে। কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারকে পেপার ফাঁসের সরকার বলে নিশানা করেছে। সমাজবাদী পার্টি-সহ ইন্ডিয়া ব্লকের অন্য দলগুলিও এই দুই পরীক্ষা নিয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে।