বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:সোমবার ও মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ দেখে চমকে উঠেছিলেন সরকারি আধিকারিক থেকে মন্ত্রী, পৌরপ্রধান সহ প্রায় সকলেই। তারপরেই শুরু হয়ে যায় বেআইনি দখল উচ্ছেদ। ‘অ্যাকশনে’ নেমে পড়ে পৌরসভা-পুলিশ।
প্রথমে এলাকা এলাকায় ঘুরে পুলিশ কর্তারা দোকান সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সল্টলেকের কলেজ মোড় থেকে শুরু করে গোদরেজ ওয়াটার সাইট পর্যন্ত, আলিপুর, গড়িয়াহাট চত্বর সব চষে বেড়ান পুলিশ কর্তারা। দোকানদারকে সতর্ক করা হয়। দোকান সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তা না হওয়ায় একদিনের মধ্যেই বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পুলিশ কর্তাদের পায়ে পড়েই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অধিকাংশেরই বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এখানে ব্যবসা করে আসছেন।
চিড়িয়াখানার সামনে থেকে ট্রায়াঙ্গুলার পার্ক, যদুবাবুর বাজার সর্বত্র বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ঝুপড়ি দোকান। কান্নায় ভেঙে পড়ছেন হকাররা। তাঁদের রুজি রুটির সওয়াল। তাঁদের চলবে কী ভাবে! এরপরই হকার উচ্ছেদ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সব জেলার জেলাশাসক, পৌরসভা, সচিব এবং পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠক করবেন। শহরের বুকে এত হকার যাবে কোথায়? সে প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে। সোমবার নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছিলেন, যেন একটা জায়গায় ‘ফুড পার্ক’ তৈরি করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে হকারদের নিয়ে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কিনা, সেটাই দেখার। হকার উচ্ছেদের পরে পথে বসতে চলেছে বহু পরিবার।