নিজস্ব সংবাদদাতা: সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে তিনদিন ব্যাপী মহাসম্মেলনের আয়োজন করেছিল চাকলা ধাম কমিটির সদস্যরা। কিন্তু প্রসাদ না খেয়েই বাড়ি ফিরতে হলো অনাহারে থাকা শিশুদের এমনকি পিছিয়ে থাকলেন না সাংবাদিকেরাও।মহাসম্মেলনের এই অনুষ্ঠানে খাবার না পেয়ে ফিরে যেতে হলো সাংবাদিকদেরও।
চলতি মাসের ২১,২২ এবং ২৩ শে ডিসেম্বর বাবা লোকনাথের চাকলা ধামে অনুষ্ঠিত হলো সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ উদযাপন।। যদিও চাকলা ধামের প্রাক্তন সভাপতি দেবপ্রসাদ সরকারের দাবি অনুযায়ী মতভেদ রয়েছে ভিন্ন, যে সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ উদযাপন ইতিমধ্যেই আড়ম্বরের সহিত পালিত হয়েছে, তার হিসেবে রয়েছে গরমিল।। তৎসত্ত্বেও ওই তিন দিনব্যাপী চলা অনুষ্ঠানে নদীয়া জেলা থেকে আগত প্রায় তেরোশো ভক্ত থাকলেন অনাহারে। চাকলা ধাম কমিটির বর্তমান সভাপতি নবকুমার দাসের আমন্ত্রণে প্রায় ২৭ টি বাসে করে বাবা লোকনাথের ১৩০০জন ভক্ত আসেন সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে চাকলা ধামে। অথচ সেই চাকলা ধামেই মন্দির কমিটির সকল কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকাকালীন অবস্থায় ওই সকল ভক্তদের ওপর এই অন্যায্য আচরণ করা হয় বলে দাবি মন্দির কমিটির সেবায়েত মধু মন্ডলের।
তৎসহ মধু মন্ডলের দাবি, নদীয়া জেলা থেকে আগত ঐ ১৩০০ ভক্তগণ ছিলেন নিতান্তই অনাহারে। কুপন সিস্টেমের মাধ্যমে বলা হয়েছিল তাদের সকালের ও দুপুরের আহার দেওয়া হবে, কিন্তু কথা কথার জায়গাতেই রয়ে গেল। মিলল না কিছুই। সকালের টিফিন তো দূর, দুপুরের প্রসাদ খেতে বসলেও মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে তাদেরকে উঠিয়ে দেওয়া হয়। ওই ভক্ত সমাগমের মধ্যে থাকা খিদে কষ্ট পাওয়া শিশুদের অতি নগণ্য পরিমাণে প্রসাদ দেওয়া হলেও বাকিদের দিকে নজর পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।এমনই তিক্ত অভিজ্ঞতা জানান চাকলা ধামের সেবায়েত মধু মন্ডল।
এমতাবস্থায় এমনটাও জানা গিয়েছে, মন্দিরে উপস্থিত থাকা আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের উপর এমন চরম অন্যায় করা হয়। কলকাতা প্রেস ক্লাবে বেশ কিছুদিন আগেই সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে চাকলা ধামের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলনের নিমন্ত্রণ জানানো হয়। এমনকি, কলকাতা প্রেসক্লাবের ওই সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয় বিভিন্ন জংশন স্টেশন সংলগ্ন ও জনবহুল এলাকা থেকে ওই তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের জন্য যানবাহনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে সাধারণ ভক্তদের জন্য, যার দায়িত্ব ছিল শ্যামলী পরিবহন সংস্থার ওপর। অথচ এর কোনরূপ ব্যবস্থাই ওই মন্দির কমিটি কিংবা শ্যামলী পরিবহন সংস্থা কেউই বহন করেননি। এছাড়াও ওই তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের সাথে অভাব্য আচরণ করেন চাকলা ধামের সভাপতি নবকুমার দাস। মন্দির কমিটির কর্মকর্তারা চাকলা ধামে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও অভুক্ত অবস্থায় অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে আসতে হয় সাংবাদিকদের।