বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
গুজরাতে মসজিদ থেকে আশ্রম অনেক কিছু ওপরে হামলার পরিকল্পনা বানচাল করে দিল দিল্লি পুলিশ। তাদের হেফাজতে থাকা ইসলামিক স্টেটের সন্ত্রাসবাদী শাহনাওয়াজ এব্যাপারে পুলিশকে তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে শাহনওয়াজ জানিয়েছে, ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া গুজরাতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনা করেছিল। বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গুজরাতে আতঙ্ক ছড়ানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শাহনওয়াজ জানিয়েছে, গুজরাটের অনেক শহর আইএসআইএসের লক্ষ্যবস্তু ছিল। সে আরও জানিয়েছে হ্যান্ডলার আবু সুলেমানের নির্দেশে আহমেদাবাদ, ভদোদরা ও সুরাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল দু’জনকে। নরেন্দ্র মোদীর হোম স্টেট হওয়ার কারণে গুজরাত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। গোধরা দাঙ্গার প্রতিশোধ নিতেই এই হামলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত আইএস সন্ত্রাসবাদী শাহনওয়াজকে গত অক্টোবরে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। তার মাথার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল পাঁচ লক্ষ টাকা।
শাহনওয়াজ জানিয়েছে, আইএস সন্ত্রাসবাদীরা ট্রেনে আহমেদাবাদে পৌঁছে গিয়েছিল। সেখানে দু’দিন ছিল তারা। প্রথম দিন রেলস্টেশন, সিনেমা হল, বিশ্ববিদ্যালয়, ভিআইপি ও রাজনৈতিক নেতাদের রুট, সেতুর পাশাপাশি ভিড় বাজারগুলি রেইকি করে তারা। এছাড়া সবরমতি আশ্রম, বোহরা সম্প্রদায়ের মসজিদ-দরগা, আহমেদাবাদের মাজার-দরগার মতো জায়গাও তারা ঘুরে দেখেছিল।
পরের দিন ভোরে তারা গান্ধীনগরে যায়। সেখানে তারা আরএসএস অফিস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অফিস, হাইকোর্ট, জেলা আদালত, দায়রা আদালত, বিজেপি অফিরও ঘুরে দেখে। টার্গেট ছকে ফেলার উদ্দেশে সন্ত্রাসবাদীরা এইসব জায়গায় ছবিও তোলে। শহরে রেইকির কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদীরা একটি বাইক ভাড়া করেছিল।
দিল্লি পুলিশের দাবি অনুযায়ী, শাহনওয়াজ জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদীরা ভদোদরায় রেলস্টেশনের কাছে একটি হোটেল ভাড়া নিয়েছিল। পরের দিন সেখানে একটি ভাড়া করা স্কুটারে জেলা আদালত, দেওয়ানি আদালত এবং রেলস্টেশনে রেইকি করে এবং সেখাানকার ছবি তোলে তারা।
স্কুটার ফেরত দিয়ে ওই দিন সন্ধেয় তারা সুরাতে যায়। সেখানে গিয়েও স্কুটি ভাড়া নেয় সন্ত্রাসবাদীরা। সুরাত রেলস্টেশনের কাছে একটি হোটেল ভাড়া নেয় তারা। পরদিন সুরাতে রেইকি করে। সেখানকার ইহুদি কেন্দ্রে যায়। সেখানকার ছবিও তোলে তারা। পাশাপাশি তারা সুরাতের হিরা বাজার ও জেলা আদালতেও যায়। সেখানকার ইসকন মন্দিরকে লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয় বলে জানিয়েছে শাহনওয়াজ। সেই দিন সন্ধের তারা ট্রেনে মুম্বই যায় এহং সেখান থেকে পুনেতে যায়। পরের দিন সেইসব ছবি হ্যান্ডলার আবু সুলেমানের কাছে পাঠায়।