Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

কলকাতাতেও ছুটবে চালকবিহীন মেট্রো! দেশের মধ্যে দিল্লিতে চালকবিহীন মেট্রো চালানোর জন্যে আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে। এবার সেই পরিষেবা যুক্ত হতে হতে চলেছে কলকাতার East-West Metro-তে। আর তা যুক্ত হয়ে গেলে দেশের প্রথম দ্বিতীয় শহর হবে কলকাতা।

যেখানে চালক ছাড়াই মেট্রো (Driverles Metro Rail) চালানো সম্ভব হবে। আর তা যুগান্তকারী হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, কলকাতার East-West Metro মেট্রোর সল্টলেক সেক্টর V থেকে শিয়ালদহের মধ্যে এই স্বয়ংক্রিয় ট্রেন অপারেশন (Automatic Train Operation System অর্থাৎ ATO) সিস্টেম বসতে চলেছে।

এই লাইনে এই সিস্টেম চালু করার জন্য ইতিমধ্যেই কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (CRS) থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছে বলে রেলের তরফে জানা গিয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে East-West Metro-এর এই রুটে চালক ছাড়াই মেট্রোর ট্রায়াল (Kolkata Metro) শুরু হতে পারে। আর তা চলতি বছরে হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।

মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, East-West Metro করিডোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেম (CBCTC) দ্বারা সজ্জিত। এই সিস্টেমে অটোমেটিক ট্রেন প্রোটেকশন (ATP), অটোমেটিক ট্রেন অপারেশন (ATO) এবং অটোমেটিক ট্রেন সুপারভিশন (ATS) সুবিধা রয়েছে। ATO দুটি সিস্টেম নিয়ে গঠিত যেমন, অন-বোর্ড এবং ওয়েসাইড ATO সিস্টেম।
ATO সিস্টেমের মাধ্যমে ব্রেকিং, মোটরিং, কোস্টিং এবং নির্দিষ্ট গতির প্রোফাইলের মধ্যে থাকা ট্রেনকে (Kolkata Metro) থামানো সম্ভব। বর্তমান ব্যবস্থায় ট্রেনের দরজা বন্ধ, পিএসডি এবং ট্রেন চালু করার সমস্ত দায়িত্ব মোটরম্যানের উপর বর্তায়।

কিন্তু Automatic Train Operation System অর্থাৎ ATO মোডে, মোটরম্যানের দ্বারা ‘ATO ডিপার্চার’ পুশ বোতামটি দীর্ঘক্ষণ প্রেস করার পরে মেট্রো স্বয়ংক্রিয়ভাবে এক স্টেশন থেকে পরবর্তী স্টেশনে চলে যাবে। পরবর্তী স্টেশনে আসার পর ট্রেনের দরজা এবং PSD স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে। মোটরম্যান ট্রেন শুরু করার আগে ট্রেনের দরজা এবং পিএসডি বন্ধ করতে নির্দিষ্ট বোতাম টিপলেই হয়ে যাবে। একেবারে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা।

উল্লেখ্য, দিল্লির মেট্রোয় এই পরিষেবা রয়েছে। সে রাজ্যের মজলিশ পার্ক থেকে শিববিহারএবং জনকপুরী থেকে বোটানিক্যাল গার্ডন অর্থাৎ দু’লাইনেই অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি দেওয়া হয়েছে। এমনকি চালক ছাড়াই মেট্রো (Driverles Metro Rail) পরিষেবার ট্রায়াল রানও হয়েছে। আর তা করতে বিপত্তিও ঘটেছে। যদিও এই একেবারে সেই প্রযুক্তি কলকাতার এই লাইনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *