বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
রেশন বণ্টন দুর্নীতির সরেজমিন তদন্তে ফের বেরিয়ে পড়ল ইডি। মকর সংক্রান্তির সকালেই সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরলো গাড়ি। এই খবর লেখার সময় কলকাতার চার – পাঁচটি জায়গায় হানা দেওয়া হয়েছে। এমনই তথ্য সামনে আসছে।
ইডির একটি দল পৌঁছে গিয়েছে সক্টলেক সেক্টর ফাইভের একটি অফিসে। কিন্তু সেখানে কী হয়? জানা গিয়েছে, ওই অফিসে চাটার্ড ফার্মের অফিস আছে। সেখানেই হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও উপস্থিত তাদের সঙ্গে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বনগাঁর তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যের আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখা হয় এই অফিসে। কাগজপত্র দেখে ও শঙ্কর আঢ্যকে জেরা করার পর এই সংস্থার নাম সামনে আসে৷ সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকরা।
তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের জন্য ইডি গিয়েছিল। সেখানে তারা আক্রান্ত হয়। প্রাণ হাতে নিয়ে পালান ইডির আধিকারিকরা৷ ওই একই দিনে শঙ্কর আঢ্যের বনগাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ম্যারাথন তল্লাশি অভিযানের পর গ্রেফতার করা হয় শঙ্করকে।
সন্দেশখালি ও বনগাঁর অভিযানের ১০ দিন পর ফের ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি অভিযানে বেরোলেন। সেক্টর ফাইভের ওই অফিসে হানা দেয় ইডি। জানা গিয়েছে, পাঁচ জন ইডি আধিকারিক ওই অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছেন। কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চাটার্ড ফার্মের ওই অফিস শঙ্কর আঢ্যর বছরের আয় – ব্যয়ের হিসেব রাখে। শঙ্কর রেশন দুর্নীতির টাকা বাইরে বিদেশে পাচার করেছেন। এই অভিযোগ সামনে এসেছে। হাজার হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিং হয়েছে বলে অভিযোগ। তারই ছবি পরিষ্কার করতে ওই চাটার্ড ফার্মে হানা দেওয়া। এমন কথাই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
ওই বাড়ির ১২ তলার অফিসে তল্লাশি অভিযান চলছে বলে খবর। নীচে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কড়া পাহারায় আছেন। ওই অফিস ভিতর থেকে বন্ধ করে রাখা আছে। কাউকেই ঢুকতে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। মকর সংক্রান্তির দিনে কি নতুন কোনও বড় তথ্য ইডির হাতে আসবে?