Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

এখনও কেন সরকারি বাংলো দখল করে বসে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। অবিলম্বে খালি করতে হবে বাড়ি। মহুয়া মৈত্রকে নোটিস পাঠাল ডিরেক্টরেট অব এস্টেট। সাংসদ হিসেবে দিল্লিতে সরকারি বাংলো পেয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর তিনি আর সেখানে থাকতে পারবেন না।

সেকারণে আগেই কেন্দ্রের তরফ থেকে তাঁকে বাংলো খালি করার নোটিস পাঠানা হয়েছিল। তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের মামলা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্ট জািনয়ে দেয় সেটা তাঁদের বিচারাধীন বিষয় নয় এটা নিয়ে পদক্ষেপ করতে পারে একমাত্র ডিরেক্টরেট অব এস্টেট।

৭ জানুয়ারির মধ্যে তাঁকে দিল্লির সরকারি বাংলো খালি করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এখনও সেই বাংলো খালি করেনি মহুয়া মৈত্র। তিনি আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট পর্যন্ত তাঁকে সেই বাংলোয় থাকতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু আদালত তাতে হস্তক্ষেপ না করে সোজা ডিরেক্টরেট অব এস্টেটের কাছে আবেদন করতে বলেছিলেন মহুয়াকে।

সেই িডরেক্টরেট অব এস্টেটের পক্ষ থেকেই আল্টিমেটাম দিয়ে মহুয়াকে ফের বাংলো খালি করার নোটিস পাঠানো হয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি তাঁকে বলা হয়েছিল ৮ জানুয়ারির মধ্যে তাঁকে বাংলো খালি করতে হবে। তারপরে আবার ১২ জানুয়ারি তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়। কিন্তু তাতেও বাংলো খালি না করায় গতকাল অর্থাৎ ১৬ জানুয়ারি তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে লোকসভার স্পিকারের কাছে অভিযোগ করেন দুবাইয়ের ব্যবসায়ী হিরান্দানির কাছে টাকা নিয়ে তৃণমূল নেত্রী সংসদে প্রশ্ন করেন। এমনকী লোকসভায় তাঁর মেইল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন দুবাইয়ের ব্যবসায়ীকে। সেই অ্যাকাউন্ট দুবাই থেকে খুলে প্রশ্ন লিখে দিতেন হিরান্দানি। সেই প্রশ্ন সংসদে করতেন মহুয়া মৈত্র। এমনই গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

তারপরেই সংসদের এথিক্স কমিটিতে শুরু হয় মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে তদন্ত। তাঁকে ডেকে জেরা করা হয়। এবং তাঁর সাংসদ পদ বাতিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়। শেষে সাংসদ পদ খারিজের প্রস্তাবেই সিলমোহর দেন স্পিকার ওম বিড়লা। এই নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ দেখিয়েছিলেন বিরোধী দলের সাংসদরা। বাম-কংগ্রেস একজোটে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন সংসদে স্বেচ্ছাচারিতা স্বৈরাচারিতা চালাচ্ছে মোদী সরকার।

সাংসদ পদ বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। এই নিয়ে কেন্দ্রকে নোিটস পাঠানো হলেও মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ কিন্তু ফিরিয়ে দেওয়ার কোনও কথা বলেনি সুপ্রিম কোর্ট। তারপরে আবার বাড়ি খালি করার নির্দেশ জারি করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *