বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্যের রাজনীতি। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। সেখানে তল্লাশি অভিযান করা সম্ভব হয়নি। বরং মার খেয়ে মাথা ফাটিয়ে ইডির আধিকারিকদের ফিরতে হয়েছে। তৃণমূল বিজেপি একে অপরকে দোষারোপে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক ময়দানে। ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও।
সাংবিধানিক পরিকাঠামো কি এই রাজ্যে ভেঙে পড়েছে? সেই প্রশ্ন করেছেন খোদ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন বিচারপতি। শুক্রবার সকালের ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
সন্দেশখালির ঘটনায় মুখ খুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করেছেন না যে এই রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে ? এমনই প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির। যদি তদন্তকারীরা মার খান তাহলে তদন্ত কীভাবে হবে ? প্রশ্ন বিচারপতির। তবে এই খবর লেখা পর্যন্ত রাজভবনের থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইতিমধ্যেই ঘটনার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি অমিত শাহের কাছে এই বিষয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন বলে খবর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ঘটনা নিয়ে তথ্য পাঠিয়েছেন বলে খবর৷
ময়দানে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বক্তব্যের বিরুদ্ধাচারণ করা হয়েছে। রাজ্যের পাওনা টাকার জন্য কেন নিশীথ প্রামাণিক কোনও বক্তব্য রাখেন না? সেই প্রশ্ন তুলেছেন মন্ত্রী। পাশাপাশি খুনের অভিযোগে আগাম জামিনের আবেদন আদালতে খারিজ হয়েছে নিশীথ প্রামাণিকের। সেই বিষয়েও মন্তব্য করেছেন শশী পাঁজা।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সন্দেশখালির ঘটনা সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে ঘটনাকে ব্যাখ্যা দেওয়ার কাজ চলছে। তৃণমূল নেতাদের এলাকায় গিয়ে তাদের বাড়িতে ঢুকে তদন্ত চালানোর নামে প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তৃণমূলের।
পরিস্থিতি যে উত্তপ্ত। একথা মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে মেপে পা ফেলছে। এমনই মনে করা হচ্ছে।