Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

রেশন দুর্নীতির তদন্তে শুক্রবার ভোর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান শুরু করে ইডি। এর মধ্যে ছিল মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িও। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ইডির আধিকারিকরা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছতেই তাঁদের ওপরে হামলা হয়। মাথা ফাটে একাধিক ইডি আধিকারিকের। হামলা হয় সংবাদ মাধ্যমের ওপরে। হামলার মুখে পালিয়ে বাঁচতে চাওয়া ইডির আধিকারিকদের গাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

এদিনের ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বিরোধী দলনেতা মন্তব্য করেন, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিপর্যস্ত। তিনি তাঁর পোস্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে গুরুতর পরিস্থিতি বিবেচনা করে নৈরাজ্য দমন করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই তালিকায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও রয়েছেন।

পরিস্থিতির কথা জানিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোনও করেন। সন্দেশখালিতে তল্লাশিতে যাওয়া ইডির আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপরে হমলা নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র সজল ঘোষ বলেছেন রাজ্যের পরিস্থিতি পাকিস্তান বা ইরাকের মতো।

উল্লেখ করা প্রয়োজন রেশন দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখন রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতারের পরে ইডি তাঁর সহযোগীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী অমিত দে ও অপর ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে পরিচিত অভিজিৎ দাসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন অডির আধিকারিকরা। তল্লাশি সময় অভিজিৎ দাসের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরি নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

ইডি সূত্রে খবর ডায়েরিতে কিছু লেনদেনের বিবরণ রয়েছে। সেখানে বেশ কিছু ভুয়ো কোম্পানির নামও রয়েছে। ডায়েরির ওপরে বালু লেখা ছিল বলে খবর ইডির সূত্রে। সঙ্গে বেশ কিছু পাতায় হিসেব-নিকেশ ছিল। প্রহঙ্গত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রাজনৈতিক মহলে বালু নামেই পরিচিত।

রাজ্যে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত গত কয়েকমাস ধরেই চালাচ্ছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সমস্থা আগে প্রকাশ করেছিল পশ্চিমবঙ্গের সুবিধাভোগীদের জন্য রেশনের প্রায় ৩০ শতাংশ জিনিস খোলা বাজারে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়েছিল। এছাড়া চাল কলের মালিকরা সমবায় সমিতি-সহ কিছু লোকের যোগসাজসে কৃষকদের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা লুট করে বলে অভিযোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *