বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
কেটে গিয়েছে পাঁচদিন! কিন্তু এখনও খোঁজ নেই সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানের। যদিও ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। দেশের সমস্ত বিমানবন্দর এবং সীমান্তে বিএসএফকে সতর্ক করা হয়েছে। এবার আরও চাপে পড়তে চলেছে শেখ শাহজাহান।
মানব পাচারের যোগ খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা NIA। শুধু তাই নয়, বিএসএফের গোয়েন্দা শাখাকেও তথ্য সংগ্রহ করতে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Case) গত শুক্রবার তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকরা। ঘটনা (Sandeshkhali Case) ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। কলকাতায় ছুটে এসেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-র ডিরেক্টর রাহুল নবীন। মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় বৈঠক করেন সিআরপিএফ, এনআইএ, এসএসবি, সিআইএসএফ, আইটির শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে। এমনকি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও দীর্ঘ বৈঠক করেন রাহুল নবীন। আর এরপরেই জানা যাচ্ছে, তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে একযোগে তদন্ত শুরু করছে এনআইএ এবং বিএসএফের গোয়েন্দা শাখা।
শুধু তাই নয়, শাহজাহানের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও আয়কর দফতর খতিয়ে দেখবে বলে শোনা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে ‘বেতাজ বাদশা’র বিরুদ্ধে একেবারে সাঁড়াশি তদন্তে নামছে একাধিক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বলে রাখা প্রয়োজন, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মানব পাচার, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার মতো মারাত্মক অভিযোগ সামনে আসছে। এমনকি বাংলাদেশে তাঁর অবাধ যাতায়াত রয়েছে বলেও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। কীসের জন্যে এতবার বাংলাদেশ সফর? খতিয়ে দেখবে এনআইএ। এমনটাই সূত্রে জানা গিয়েছে।
যদিও এই বিষয়ে সরকারি ভাবে কোনও মন্তব্য কিংবা বিবৃতি সামনে আসেনি। অন্যদিকে মঙ্গলবারই ইডির উপর হামলার (Sandeshkhali Case) ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কি কারনে আক্রান্ত হতে হল আধিকারিকদের? সে বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এমনকি= রাজ্যপালও নবান্নের উপর চাপ বাড়াচ্ছেন। ঘটনার (Sandeshkhali Case) বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও কেন সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’কে গ্রেফতার করা হল না তা নিয়ে মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছেও রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
তবে ন্যাজোট থানা এলাকায় পুলিশি তৎপরতা বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। সমস্ত জায়গায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে খবর। এমনকি নাকা চেকিং করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু কি কারনে এই ব্যবস্থা তা স্পষ্ট নয়। সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের দাবি, অন্যায় করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।