বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
দীর্ঘ ১৩ ঘন্টা তল্লাশি শেষে রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Bose) বাড়ি থেকে বেরল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দীর্ঘ তল্লাশিতে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে মন্ত্রীর ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও ফোন না নিয়ে যাওয়ার জন্যে আধিকারিকদের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন বলে জানান সুজিত বসু।
তাঁর কথায়, আধিকারিকদের আমি জানাই আমি আপদকালীন একটি দফতরের সঙ্গে যুক্ত আছি। ফলে ফোনটা রেখে যাওয়ার আবেদন জানাই। দীর্ঘ ইডি তল্লাশি শেষ (west Bengal Recruitment Scam)হতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী। আর সেই মঞ্চ থেকেই কার্যত প্রতিহিংসার অভিযোগে সরব হন।
বলেন, রোলের দোকান ছিল। কিন্তু কারোর পকেট কাটিনি। শুধু তাই নয়, কাজের জন্যে সুজিতকে কেউ এক টাকা দিয়েছেন তা প্রমাণ করতে পারলে আজই মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ দেব। মন্তব্য তৃণমূল বিধায়কের। এমনকি এই মামলার সঙ্গে তিনি কোনও ভাবেই যুক্ত নয় বলেও জানান তিনি।
সুজিতের কথায়, ৪৫ বছর রাজনীতি করেছি। তবে এদিন দীর্ঘ সাংবাদিক বৈঠকের বড় অংশ জুড়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান। বলেন, তোয়ালে মুড়ে উনি টাকা নিয়েছিলেন। আয়নায় নিজেকে একবার দেখুক। বিজেপি তাঁকে কতদিন বাঁচাবে?
বলে রাখা প্রয়োজন, এদিন সকাল থেকে সুজিত বসুকে লাগাতার আক্রমণ শানান বিজেপি নেতারা। একের পর এক তোপ দাগেন শুভেন্দু। দিনের শেষে এভাবেই পালটা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ এই নেতা।
পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে দমকলমন্ত্রী সুজিতের বাড়িতে হানা দেয় ইডি।গতকাল সকাল ৭টা নাগাদ মন্ত্রীর লেক টাউনের দু’টি বাড়িতে পৌঁছন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। মন্ত্রীর বাড়ি বাইরে থেকে ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। দীর্ঘ তল্লাশির মাঝেই বিকেল নাগাদ সুজিতের ছেলে সমুদ্রকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ইডির তদন্তকারী অফিসার।
সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। তাঁকে নিয়ে শ্রীভূমি ক্লাবের উল্টো দিকের একটি ফ্ল্যাটে যান ইডি আধিকারিকেরা। সেই দফতরে তল্লাশির পর সমুদ্রকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেই ফ্ল্যাটে, যেখানে ছিলেন তাঁর বাবা সুজিত বসু। তবে আগেও পুর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের সূত্রে সুজিতকে তলব করেছিল সিবিআই। তবে ইডি অভিযানের পর এই নিয়ে সরব হলেন দমকল মন্ত্রী। তবে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলা কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার।