Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

সন্দেশখালি কাণ্ডে শেষপর্যন্ত গ্রেফতার হল দুজন। ইডির উপর আক্রমণের পর সাত দিন কেটে গিয়েছে। আট দিনের মাথায় প্রথম দুজনকে গ্রেফতার করল ন্যাজাট থানার পুলিশ। কিন্তু এই গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান কোথায়? কেন পুলিশ তাকে ধরতে পারছে না? বিরোধীদের জোরালো প্রশ্ন।

সন্দেশখালির ঘটনার পর তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে। চাপ বাড়ছিল পুলিশ প্রশাসনের উপর। এর মধ্যে জানা গেল, সন্দেশখালি কাণ্ডে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে এই তথ্য দিল ন্যাজাট থানার পুলিশ। কিন্তু কেন মাত্র দুজনকে ধরা হল? বাকিরা কেন অধরা? সেই প্রশ্ন উঠেছে।

দুই ব্যক্তির নাম মেহবুব মোল্লা ও সুকুমার সর্দার। উত্তর ২৪ পরগনার আলাগড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের ধরা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কিন্তু ঘটনার আট দিন পরে মাত্র দুজন কেন গ্রেফতার হল? সরবেড়িয়াতে শুক্রবার বিশাল সংখ্যায় মানুষ জড়ো হয়েছিল। বিরোধীদের দাবি ছিল হাজার দুয়েকের বেশি মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

অন্য দিকে ইডির দাবি ৮০০ থেকে হাজার মানুষ ওই হামলার সময় ছিল। শেখ শাহজাহান ওই ঘটনা পরিচালনা করেছেন বাড়িতে বসে। এমন অভিযোগও সামনে আসছে। এত জনের মধ্যে মাত্র দুজন কেন গ্রেফতার হল? পুলিশ বাকিদের কি চিহ্নিত করতে পারল না? না কী তাদের ধরার জন্য কোনও পদক্ষেপই করেনি? আট দিন পরে মাত্র দুজন ধরা পড়ল। তাহলে বাকিদের ধরতে কত দিন সময় লাগবে? প্রশ্ন উঠেছে।

অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান এখনও অধরা। তার খোঁজ পাচ্ছে না পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ কি আদৌ তাদের কাজ করছে? শেখ শাহজাহানকে ধরার কোনও পরিকল্পনা কি পুলিশের আছে? সেই প্রশ্ন উঠছে বিরোধীদের তরফ থেকে। বিজেপির দাবি পুলিশ শেখ শাহজাহানকে আড়াল করে রাখছে। অন্য দিকে চর্চায় রয়েছে, গ্রামেই শেখ শাহজাহান থাকছেন।

তাহলে কি রাজনৈতিক চাপে এই দুজনকে প্রথমে গ্রেফতার করা হল? ঘটনার মোড় ঘোরানোর জন্য প্রাথমিকভাবে এই গ্রেফতার? মূল ঘটনার থেকে দৃষ্টি সরানোর জন্য কেবল ‘আই ওয়াশ’ করছে পুলিশ? এই প্রশ্ন ফের উঠল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *