বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
মকর সংক্রান্ত উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে উৎসবের মেজাজ! গঙ্গাসাগর থেকে শুরু করে কলকাতার বাবুঘাট, শাহী স্নান করতে মানুষের ভিড়। একই ছবি কারজত জেলার ঘাটগুলিতেও। ঠান্ডা উপেক্ষা করেই জলে ডুব সাধারণ মানুষের। রাত ১২ টা ১৩ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে শাহী স্নান। ফলে ভোরের আলো ফোটার আগেই কয়েক লাখ মানুষ এদিন স্নান সারেন গঙ্গাসাগরে।
শুধু তাই নয়, ঠান্ডাকে উপেক্ষা করেই চলছে এই স্নান (Makar Sankranti)। এবার সাগরের (Ganga Sagar) ভিড়ের নিরিখে সর্বকালীন রেকর্ড তৈরি হবে। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। মেলায় ৬৫ লক্ষ পূণ্যার্থীর সমাগম হয়েছে রবিবার বিকেল পর্যন্ত। এমনটাই প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে। এই সংখ্যাটা এদিন আরও ছাড়িয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সে মতো গঙ্গাসাগর জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা সেখানে রাত থেকেই অ্যালার্টে রয়েছেন। পাশাপাশি নৌবাহিনী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও অ্যালার্টে রাখা হয়েছে। সমুদ্রের মধ্যে চলছে কড়া নজরদারী।
অন্যদিকে কলকাতার বাবুঘাট সহ অন্যান্য ঘাটগুলিতেও মানুষের ভিড়। ভোররাত থেকেই কার্যত শুরু হয়েছে এই স্নানপর্ব (Makar Sankranti)। কলকাতা পুলিশের তরফে কড়া নজরদারী চালানো হচ্ছে। গঙ্গাবক্ষেও লঞ্চের মাধ্যমে চলছে নজরদারী। মাইকের মাধ্যমে সতর্কমূলক প্রচার।
একই ছবি জেলাতেও। উত্তর থেকে দক্ষিণ, ছবিটা সর্বত্র এক। সোমবার মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) উপলক্ষে মকর স্নানের জন্য দামোদরের ঘাট গুলিতে ভিড় জমিয়েছে সাধারণ মানুষ। শিল্পাঞ্চল জুড়ে রয়েছে প্রচন্ড ঠান্ডার দাপট , ঠান্ডা ও কুয়াশা উপেক্ষা করে পুণ্য স্নানের জন্য আসানসোলের ডিসেরগড় নদী ঘাটে চলছে মকর স্নান । স্নান সেরে নদী ঘাটে এক পাশে আগুন পোহাচ্ছেন পুন্যার্থীরা।
সোমবার ঘাট গুলির নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পুণ্য স্নানে যারা নদী ঘাটে স্নান করতে নামছেন তারা যাতে বেশি জলে না নামে তার জন্য বারবার সতর্ক করছেন তারা। সোমবার মকর স্নান উপলক্ষে আসানসোলের বিভিন্ন নদীঘাট গুলিতে জমায়েত হয়েছে সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে আসছে বছর আস্য টুসু দিব পাটের শাড়ি গো…’এই কথা দিয়েই মকর সংক্রান্তির সকালে ‘ঘরের মেয়ে’ টুসুকে বিদায় জানাচ্ছেন বাঁকুড়া তথা রাঢ় বঙ্গের মানুষ। দীর্ঘ এক মাস প্রতি সন্ধ্যায় গানের মাধ্যমে টুসু আরাধনা শেষে মকর সংক্রান্তির আগের রাতে ‘জাগরণ’ শেষে এবার তাঁর বিদায়ের পালা। তাই মকর সংক্রান্তির দিন সকাল থেকে টুসু বিদায়ের বেদনা ভরা সুর বাঁকুড়ার আনাচে কানাচে।