বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
শাহরুখ খানের সহ অভিনেতার ছবি ঘিরে জোর বিতর্ক। সেই বিতর্ক এতোটাই গভীর যে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ছবিটি। নয়নতারা অন্নপূর্ণি ছবিিট নেটফ্লিক্স প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে নেটফ্লিক্সের তরফ থেকে ক্ষমাও চেয়ে নেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণী তারকা নয়নতারার অন্নপূর্ণি সিনেমাটি নাকি হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে। সেই নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শিবসেনা নেতা রমেশ সোলাঙ্কি। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন ছবিটি নাকি হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত দিচ্ছে। এই সিনেমাতে নাকি বলা হয়েছে শ্রীরাম মাংস খেতেন।
শিবসেনা নেতা দাবি করেছেন যেখানে অযোধ্যার রাম মন্দিরে শ্রীরামের প্রাণপ্রতিষ্ঠার উৎসবের তোরজোর চলছে সেখানে এই ধরনের বিষয় রেখে েয ছবিটি তৈরি করা হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং হিন্দু ধর্মকে অপমান করা হয়েছে ছবিটিতে। ১ ডিসেম্বর ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। তার পরে ২৯ িডসেম্বর সেটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায়।
এই ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তারপরে আর সেই ছবিটি নেটফ্লিক্স তার প্ল্যাটফর্মে রাখতে চায়নি। ক্ষমা চেয়ে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছবিটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর জি িমডিয়ার এক প্রোডিউসার নাকি বিশ্বহিন্দু পরিষদকে চিঠি লিখে জানিয়েছে যে বিতর্কিত শব্দটি বাদ না দেওয়া পর্যন্ত ছবিটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে না।
এমনকী তারা ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছে এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য। প্রযোজক সংস্থার পক্ষ থেকে চিঠিতে জানানো হয়েছে কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল না। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন নয়নতারা। তিনি এক ব্রাহ্মণ কন্যার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাতে দেখানো হয়েছে ব্রহ্মণ কন্যা বিরিয়ানি রান্নার আগে নমাজ পড়ছেন। এই ছবিতে নাকি লাভ জিহাদের প্রচার করা হয়েছে। ছবিতে নাকি নায়ক নায়িকাকে মাংস খেতে খেতে বলেেছন ভগবান শ্রীরামও মাংস খেতেন। তাই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ থেকে শিবসেনা সকলেই এই ছবির আপত্তি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগে এনসিপি নেতা দাবি করেছিলেন রাম ক্ষত্রিয় রাজা ছিলেন। ক্ষত্রিয়রা কখনও নিরামিষ খায় না। তাঁরা মাছ-মাংস খেয়ে থাকে। সেকারণে শ্রীরামও মাংস খেতেন। এবং যে ১৪ বছর তিনি বনবাসে ছিলেন সেসময় শুধু গাছপাতা খেয়ে বাঁচা যায় না। শিকার করে মাংস খেেয় ছিলেন তাঁরা। কাজেই যাঁরা শ্রীরামকে নিরামিষ ভোজী বলে দাবি করে চলেছেন তাঁরা মিথ্যে কথা বলছেন।