Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

ভারতে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বিগত কয়েক বছরে ভারতে কর্টক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও উব্দেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ভারতে ক্যান্সার নিয়ে। মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। চিকিৎসকদের গবেষণা রিপোর্টে কী উঠে এসেছে? তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।

দ্য ল্যানসেট রিজিওনাল হেলথ সাউথইস্ট এশিয়া নামে একটি জার্নালে সমীক্ষা রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক গবেষকদের সঙ্গে এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ন্যাশনাল ইনস্টিউট অফ টেকনোলজি কুরুক্ষেত্র এবং এআইএমএসের প্রতিনিধিরাও। এই সমীক্ষাতে বলা হয়েছে, ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। মৃত্যুতে এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

সমীক্ষায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালে ভারতে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯.৩ লক্ষ আক্রান্তের। ওই বছর ক্যানসারের মৃতের সংখ্যায় এশিয়ার মধ্যে ভারতের স্থান ছিল দ্বিতীয়। শুধু ভারত নয় এশিয়ার উন্নত দুই দেশ চিন এবং জাপানেও উদ্বেগজনক ভাবে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এশিয়ার এই তিনটি দেশ মিলিয়ে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯৪ লক্ষ, আক্রান্তদের মধ্যে ৫৬ লক্ষ ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। ২০১৯ সালে এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার তালিকায় শীর্ষে আছে চিন, ভারতের প্রতিবেশি এই দেশে ৪৮ লক্ষ মানুষ ২০১৯ সালে কর্কট রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তারমধ্যে ২৭ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়।
জাপান ছিল তৃতীয় স্থানে। সেই দেশে ৯ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হলেও, ৪.৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। ভারত ছিল তৃতীয় স্থানে। বিশেষজ্ঞরা তাদের সমীক্ষায় উল্লেখ করেছেন, ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল পাকিস্তান উপমহাদেশে গুটকা, পান, তামাক জাতীয় নেশার প্রচলন বেশি। এরফলে ওড়াল ক্যান্সারের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। ভারতে ক্যানসার বৃদ্ধির পিছনে গুটকা জাতীয় নেশার পণ্যকেই দায়ী করা হয়েছে।

সমীক্ষায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা ১৯৯০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ৪৯টি দেশের ২৯টি ক্যানসারের সাময়িক প্যাটার্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ, ইনজুরি এবং রিস্ক ফ্যাক্টরস ইত্যাদির ভিত্তিতে।

বিশেষত মহিলাদের মধ্যে, জরায়ু মুখের ক্যানসার এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে দ্বিতীয় বা শীর্ষ পাঁচটি ক্যান্সারের মধ্যে স্থান পেয়েছে। ২০০৬ সালে প্রবর্তিত হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধে এবং এইচপিভি-সম্পর্কিত মৃত্যু কমাতে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ক্যান্সারের জীবাণু সবেচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছিল শ্বাসনালী এবং ফুসফুসে। এই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *