Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:শুক্রবার থেকে দ্বিতীয়বারের জন্য অশান্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। তৃণমূল নেতাকে মারধর ও বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই পরিস্থিতিতে এদিন দিল্লি যাত্রার আগে সন্দেশখালি নিয়ে বড় ইঙ্গিত দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত দিল্লিতে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপির অনুষ্ঠানে সন্দেশখালির পরিস্থিতি তুলে ধরবেন তিনি।

শনিবার সকালে দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সন্দেশখালি নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা। ৫০ দিন পেরিয়ে গেলেও অধরা শেখ শাহজাহান। এই ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ধরবে না। ভোট আসবে আর কালীঘাটে টাকা সাপ্লাই করবে।’

সন্দেশখেলিতে রাজ্য পুলিশের ডিজিপির রাতে থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চোর ধরতে যায়নি। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়েছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, জমি ফেরত তো তিনিই করিয়েছেন। নিজের জমি নিজে নেবে এতে পুলিশ কী করবে, প্রশ্ন করেন তিনি।

বিরোধী দলনেতা কটাক্ষ করে বলেছেন, রাজ্য পুলিশের ডিজিপি জেলিয়াখালিতে গিয়েছিলেন শিবু হাজরার ম্যানেজার হিসাবে। উনি বলেছেন, শাহজাহান ইডি-সিবিআইয়ের মামলা, রাজ্য পুলিশ নট ইন্টারেস্টেড। উনি গেছিলেন ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে, কারণ উনি তো এখন তৃণমূলের প্রেসিডেন্ট। সুব্রত বক্সি নামেই প্রেসিডেন্টের কাজটা করেন। রাজীব কুমারকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সন্দেশখালি কি দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম হতে চলেছে? প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘হ্যাঁ, সেখানে বশ্যতার বিরোধী সংগ্রাম চলছে। নন্দীগ্রাম শুরু হয়েছিল জমি অধিগ্রহণ দিয়ে। সন্দেশখালি শুরু হয়েছে মেয়েদের ওপর অত্যাচার দিয়ে। তার সঙ্গে রয়েছে জমি দখল।

বিরোধী দলনেতা বলেছেন, তবে যেটা নন্দীগ্রামে ছিল না সেটা এখানে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে আসার পরে ২০১৩ সাল থেকে কেউ ভোট দিতে পারেননি। তিনটে বড় ইস্যু নিয়ে সন্দেশখালির সংগ্রাম, মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা।

শিখদের সম্পর্কে মন্তব্য করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিরোধী দলনেতা বলেছেন, তিনি ওই সম্প্রদায়কে প্রণাম জানাচ্ছেন। যদি কোনও ছবি দেখানো যায়, তাহলে তিনি স্বীকার করে নেবেন বলেও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর অভিযোগ, ওটা ম্যানুফ্যাকচার্ড পিকচার ভয়েস। ওটার সঙ্গে দলের বা তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।’

এদিকে অশান্ত সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। সেই মতো শনিবার সকাল থেকে বেড়মজুর এলাকার কাঠপোলে ক্যাম্প করা হয়। সেখানে থাকা পুলিশ কর্মীরা অভিযোগ জমা করছেন। যে কোনও ধরনের অভিযোগ সেখানে জানানো যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *