বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: প্রতি মরশুমেই আইপিএলে নতুন কোন না কোন নিয়মের প্রচলন করে বিসিসিআই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেগুলির প্রচলন না থাকলেও সেটি দেখা যায় আইপিএলের মঞ্চে।
২০২৩ সালের আইপিএল থেকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম চালু করেছে বিসিসিআই। কিন্তু দ্বিতীয় বছরে এসেই এই নিয়ম নিয়ে নতুন করে ভাবনা চিন্তা করতে হচ্ছে বিসিসিআইকে।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম আসার পর আইপিএলে ক্রিকেট এখন আর ১১ জনের খেলা নয়। এখন আর প্রথম একাদশ বেছে নিলেই হয় না। বেছে নিতে হয় এক জন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারকেও। ১২ জনের খেলা হয়ে গিয়েছে। এখন আর টসের আগে দল ঘোষণা করতে হয় না। ফলে টস জিতে বা হেরে দলের অধিনায়ক ঠিক করে নিচ্ছেন বাড়তি ব্যাটার না কি বাড়তি বোলারকে দলে রাখবেন।
কিন্তু এই নিয়ম কি ক্রিকেটের জন্য উপযুক্ত, বিশেষ করে অল রাউন্ডারদের ভূমিকা টি২০ ক্রিকেটে অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে এই নিয়মের ফলে। রোহিত শর্মা থেকে ঋতুরাজ গাইকোয়াড় অনেকেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। এই প্রেক্ষাপটেইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে বিসিসিআই।
রোহিত শর্মার মন্তব্যের চাপে বিসিসিআই আরও খোলামেলা অবস্থান নিয়েছে। আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল সংবাদ মাধ্যমের কাছে পর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, “আমরা অবশ্যই এটি দেখব, আমরা যেকোনো আলোচনার জন্য রাস্তা খোলা রাখছি।” এই মন্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে বিসিসিআই নিয়মটি বাতিল বা সংশোধন করার বিষয়ে বিবেচনা করতে ইচ্ছুক।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম পছন্দ নয় ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মারও। তিনি জানিয়েছিলেন, “ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মটা আমার খুব একটা পছন্দ নয়। এর ফলে অলরাউন্ডারদের প্রয়োজন কমে গিয়েছে। ক্রিকেটটা এখন ১২ জনের খেলা হয়ে গিয়েছে। এর ফলে ক্রিকেটটা নষ্ট হচ্ছে। দর্শকের জন্য যদিও খুব উপভোগ্য হচ্ছে ব্যাপারটা।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম আসায় চোট থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্রিকেটার খেলতে পারছে। দলে অলরাউন্ডার প্রয়োজন হচ্ছে না। আইপিএলে এখন ১২ জনের খেলা হয়ে গেছে। এতে আইপিএলের আকর্ষণ বেড়েছে। কিন্তু অলরাউন্ডারের প্রয়োজন শেষ করে দিয়েছে।’
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ে লখনউ ম্যাচ হারের পর সরব হয়েছেন ঋতুরাজ গাইকোয়াড়। বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে ঋতুরাজ বলছেন, ‘পাওয়ার প্লে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। পাওয়ার প্লে-তে উইকেট পেলে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা যায়। এই ম্যাচ অতীত। আরও হোমওয়ার্ক করে পরবর্তী ম্যাচে নামতে হবে।’
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মের জন্য প্রথমেই প্রশ্ন উঠছে শিবম দুবেকে নিয়ে। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেন তিনি। বেশির ভাগ ম্যাচেই নামছেন শুধু ব্যাট করার জন্য। এদিকে হার্দিক সব ম্যাচে বল করছেন না। ফলে এই দুই অলরাউন্ডার কতটা তৈরি তা বোঝা সম্ভব নয় নির্বাচকদের পক্ষে।