Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:বাংলায় মরুভূমির উত্তাপ । গরম তাওয়া যেন। বৃষ্টি তো দূরের কথা, গত একমাসে একটি ঝড়ও দেখেনি বাংলা। এদিকে এপ্রিল মাসে বর্ষার বৃষ্টিতে ভাসছে কাশ্মীর। এই সময় পর্যটকের ঢল নামে কাশ্মীরে। কিন্তু এবার যেন সেখানে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তার সঙ্গে চলছে তুষারপাত, তুষার ধস।

কাশ্মীরে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঝিলম নদীর জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। একাধিক জায়গায় স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ধসে বিপর্যন্ত শ্রীনগরগামী জাতীয় সড়ক। এর আগে এপ্রিল মাসে এইরকম ধস নামেনি। এই সময় কাশ্মীরে টিউলিপের বাগান দেখতে যান পর্যটকরা। প্রকৃতির রোষে এবার সব যেন লাটে উঠেছে।

কিন্তু এবার যেন সব হিসেব ওলট পালট হয়ে গিয়েছে। গোটা দক্ষিণ-পূর্ব ভারতে অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহ চলছে। এতোটাই গরম যে দেশের উষ্ণতম স্থানে পরিণত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কলাইকুণ্ডা। তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি প্রায়। একেবারে গরম তওয়ায় পরিণত হয়েছে বাংলা। এক টানা একমাস ধরে তাপপ্রবাহ চলছে পশ্চিমবঙ্গে। চৈত্রের ঝঞ্ঝা বা বৈশাখের কালবৈশাখী কোনও কিছুরই দেখা মিলছে না। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও বেশ বেড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ ৩০ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। যেটা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। ফলে রাতেও কমছে না গরম।

এদিকে মনোরকম আবহাওয়া যখন হওয়ার কথা ভূস্বর্গে তখন বিপর্যয় নেমে এসেছে। একাধিক জায়গায় ধস। তার সঙ্গে প্রবল বর্ষণ আর তুষারপাত শুরু হয়েছে। এপ্রিল মাসে এতোটা তুষারপাত এর আগে দেখেননি ভূস্বর্গের বাসিন্দারা। গুলমার্গ ঢেকে গিয়েছে বরফের চাদরে। শীতকালে কিন্তু বরফ পাওয়া যায়নি গুলমার্গে। হতাশ হয়ে ফিরেছেন পর্যটকরা। কিন্তু এপ্রিল মাসে এই অস্বাভাবিক তুষারপাত আর ভারী বর্ষণ এর আগে কখনও দেখেননি বাসিন্দারা।

বৃষ্টি আর তুষারপাতে একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পর্যটকরা। একাধিক বাড়ি ঘর তলিয়ে গিয়েছে ধসে। কয়েক মাস আগে উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠেও ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন বাসিন্দারাষ। যোশীমঠকে বাসের অযোগ্য করে ঘোষণা করেছিল উত্তরাখণ্ড সরকার। অবার সেই ছায়া দেখা যাচ্ছে কাশ্মীরেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *