Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আবহে Citizenship Amendment Act নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মোদী সরকার। শুধু তাই নয়, এই আইনের অধীন প্রথম নাগরিকত্ব দেওয়া হল আজ বুধবার ১৪ জনকে। যদিও এই আইন নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বাংলায় সিএএ কার্যকর হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যদিও বঙ্গ এসে সিএএ ইস্যুতে লাগাতার তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ শানাচ্ছেন মোদী শাহ। তাঁরা বলছেন, এই আইন নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই অবস্থায় কী বলছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষরা। বনগাঁ সহ বাংলার বিভিন্ন অংশে বহু মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। যারা বাংলাদেশ থেকে এপার বাংলায় চলে আসেন বহু যুগ আগে।

নাগরিকত্ব নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়েছে। এই অবস্থায় মোদী সরকারের সিএএ’র মাধ্যমে এই সমস্ত মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। ভোটের মুখে এই আইন কার্যত মাস্টারস্ট্রোক বিজেপির কাছে। মনে করা হচ্ছে সিএএ’র মাধ্যমে মতুয়া, দলিত সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়া বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে হাওয়া দেবে।

যদিও মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, সিএএ’তে আবেদন করলে সঙ্গে সঙ্গে নাকি বিদেশী হয়ে যাবেন। এমনকি এই আইন কার্যকর বাংলায় হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। যদিও এই আইন কার্যকর হওয়া থেকে কেউ ঠেকাতে পারবে না বলে বাংলায় এসে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মোদী। এমনকি বনগাঁ অর্থাৎ মতুয়া গড়ে দাঁড়িয়ে সিএএ’রপক্ষে সওয়াল করছেন শাহ। মুখ্যমন্ত্রী মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। এই অবস্থায় কার্যত দ্বিধাবিভক্ত মতুয়ারা। প্রাথমিকভাবে তাঁরা খুশি হলেও এখন সবাই চুপ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, মতুয়ারা এখনও পর্যন্ত নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেননি। তবে ঠাকুর পরিবারের সদস্য তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, নির্বাচন মিটলেই আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এখনও পর্যন্ত ৫০০ জন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ সিএএ’তে আবেদন জানিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। সম্ভবত মতিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের সংশয়ের কথা ভেবেই অমিত শাহ বলেছেন, সবাই ফর্ম ডাউনলোড করুন এবং আবেদন জানান। এক্ষেত্রে শান্তনু ঠাকুর সাহায্য করবেন বলেও জনিয়েছেন শাহ।

নিউজ ১৮ কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শান্তনু ঠাকুর বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী ‘ডুয়েল গেম’ খেলছেন বলেও দাবি বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর। তাঁর কথায়, আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষকে সবসময় সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। পাসপোর্ট তৈরি করা থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজে নথি চাওয়া হয়। শুধু তাই নয়, District Intelligence Bureau Office (DIB) নানা ভাবে হেনস্থা করে, এমনকি মোটা অঙ্কের ঘুষ চাওয়া হয় বলেও দাবি কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর।

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়েছেন মতুয়ারা। কিন্তু আইন কার্যকর কর হওয়ার পর তাঁদের মধ্যে একটা অনিশ্চিয়তা কাজ করছে। শান্তনু ঠাকুরের ভোট প্রচারের অংশ নিয়েছেন এমন একি শিক্ষিকা শ্রেষ্ঠা মেঘা নিউজ ১৮ কে জানিয়েছেন, ভোট মিটলেই তাঁরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন। বিদায়ী সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষিকা।

অন্যদিকে গাইঘাটার এক বাসিন্দা মিনতি বিশ্বাস ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন। সরকার কেন এত নথি চাইছে সেটাও বুঝে উঠতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন মিনতি দেবী। তাঁর দাবি, কঠিন অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে বাবা-মা পালিয়ে এসেছিল। কীভাবে নথি নিয়ে তাঁরা আসত। অন্য এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, অন্যরা নাগরিকত্ব পেলেই তবে আবেদন করবেন। তার আগে নয় বলেই দাবি তাঁর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *