বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
মণিপুরের থৌবলের খংজোমে ১৮৯১ সালের যুদ্ধে মৃতদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এদিন ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি সেখানে একটি বড় সমাবেশে ভাষণও দেন। এর আগে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে একটি চাটার্ড বিমানে ইম্ফল পৌঁছন রাহুল গান্ধী। কুয়াশার কারণে বিমান ইম্ফলে দেরি পৌঁছনোয় রাহুল গান্ধী ক্ষমাও চেয়ে নেন। ভারত জোড়ো যাত্রার দ্বিতীয় পর্ব উত্তর-পূর্ব থেকে পূর্ব ভারতের মধ্যে দিয়ে পশ্চিম ভারতের দিকে যাবে ৬৭০০ কিমি পথ। ১৫ টি রাজ্যের মধ্যে দিতে এই যাত্রা ২০ মার্চ মুম্বইয়ে শেষ হবে।
রাহুল গান্ধী এদিন তাঁর ভাষণে বলেন, গত বছরের ২৯ জুন তিনি মণিপুর এসেছিলেন। তখন তিনি যা দেখেছিলেন কিংবা শুনেছিলেন, তা কখনও তিনি দেখেননি কিংবা শোনেননি। রাহুল গান্ধী বলেন, তিনি ২০০৪ সাল থেকে রাজনীতি করছেন। কিন্তু এই প্রথম কোনও রাজ্যের শাসন ব্যবস্থার পতন তিনি দেখলেন। তিনি অভিযোগ করেন, মণিপুর এখন বিভক্ত হয়ে পড়েছে, যার প্রতি কোণে ঘৃণা ছড়িয়ে রয়েছে।
রাহুল গান্ধী বলেছেন, বহু মানুষ সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের সামনে অন্যদের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চোখের জল মুছতে কিংবা আলিঙ্গন করতে মণিপুরে যেতে দেখা যায়নি। রাহুল কটাক্ষ করে বলেছেন, সেই কারণেই হয়তো মণিপুর ভারতের অংশ নয় এবং তাঁদের ব্যথা আপনার ব্যথা নয়।
রাহুল গান্ধী বলেছেন, মণিপুর বিজেপি ও আরএসএসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ঘৃণা ও আদর্শের রাজনীতির একটি উদাহরণ মাত্র। এদের কাছে মণিপুর ভারতের অংশ নয়। তিনি আশ্বস্ত করে বলেছেন, কংগ্রেস মণিপুরে সম্প্রীতি ও শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে। ন্যায় যাত্রার নামকরণের সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছেন, বর্তমানে দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবিচার তুলে ধরতে এটি করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, এই সফরের উদ্দেশ্য হল সব শ্রেণির- সব পেশার মানুষের সমস্যার কথা শোনা।
রাহুল গান্ধী সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বলেছেন, কংগ্রেস তাদের মন কি বাত সম্পর্কে বলতে চায় না, তাঁদের মন কি বাত শুনতে চায়। কংগ্রেস সাধারণ মানুষের ব্যথা সম্পর্কে জানতে চায়। কংগ্রেস ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নিতে চায়।
এদিন এই যাত্রা শুরুর সবুজ সংকেত দিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, এই ধরণের যাত্রা অতীতে হয়নি, ভবিষ্যতে হবেও না। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, মোদী ভোট চাইতে মণিপুরে আসেন, কিন্তু সাধারণ মানু। যখন সমস্যায় পড়েন, তখন তিনি সমুদ্র সৈকতে ছুটি কাটান কিংবা রামের নামে ধর্মীয় কাজ করেন। এর আগে রাহুল গান্ধী কীভাবে রাজ্য সফর করেছিলেন, তা মনে করিয়ে দেন কংগ্রেস সভাপতি।