বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
মোদী জমানায় গত নয় বছরে ভারতে দরিদ্র জনসংখ্যার অনুপাত ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। নীতি আয়োগ এমনটাই তথ্য প্রকাশ করেছে। মোট জনসংখ্যার নিরিখে দারিদ্রতার অনুপাত ২০১৩-১৪ সালে ২৯.১৭ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ সালে ১১.২৮ শতাংশে নেমে এসেছে। নীতি আয়োগের দেওয়া তথ্য অনুসারে দেশের ২৪.৮২ কোটি মানুষ গত নয় বছরে দারিদ্র সীমার ওপরে উঠে এসেছেন।
নীতি আয়োগের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০১৩-১৪ সাল থেকে ২০২২-২৩ সালের মধ্যে অর্থাৎ বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের সময়ে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র থেকে রক্ষা পেয়েছেন। দ্রারিদ্রতা সব থেকে বেশি হ্রাস পেয়েছে বিহার, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের মতো হিন্দি বলয়ের রাজ্যে।
এর মধ্যে উত্তর প্রদেশে দরিদ্রের সংখ্যা সব থেকে বেশি হ্রাস পেয়েছে। নয় বছরে ৫.৯৪ কোটি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। তারপরেই রয়েছে বিহারের ৩.৭৭ কোটি, মধ্যপ্রদেশের ২.৩০ কোটি ও রাজস্থানের ১.৮৭ কোটি মানুষ।
নীতি আয়োগের সদস্য রমেশ চন্দ বলেছেন, নয় বছরে ২৪.৮২ কোটি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র থেকে রক্ষা পেয়েছেন। এর অর্থ হল প্রতিবছর ২.৭৫ কোটি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্রতা থেকে রেহাই পাচ্ছেন। বহুমাত্রিক দারিদ্রতা বলতে এখানে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মানের কথা বলা হয়েছে। বহুমাত্রিক দারিদ্রতার পরিমাপ করা হয় এই বিষয়গুলি দিয়ে।
এছাড়াও বেশ কয়েকটি সূচকের মাধ্যমে বিষয়টিকে উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে পুষ্টি, শিশু ও কিশোরী মৃত্যু, মায়ের স্বাস্থ্য, স্কুলে পড়ার বছর, স্কুলের উপস্থিতির হার, রান্নার জ্বালানি, স্যানিটেশন, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, আবাসন, সম্পদ ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।
বহুমাত্রিক দারিদ্র সূচক একটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত পরিমাপ যা আর্থিক দিকগুলির বাইরে একাধিক মাত্রায় দারিদ্রকে প্রকাশ করে। এমপিআই-এর পদ্ধতিটি বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন স্বীকৃত মেট্রিকের ওপরে ভিত্তি করে লোকেদের দরিদ্র হিসেবে চিহ্নিত করে। এটি প্রচলিত আর্থিক নিরিখে দারিদ্র পরিমাপের একটি পরিপূরক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।