Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

 

লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার আগে কালই রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের মেছেদায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে তিনি সভা করবেন।

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন অমিত শাহের হাত থেকে পতাকা নিয়েই। এবার শুভেন্দুর ভাই তথা কাঁথির তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে বড়সড় চর্চা চলছে।

শান্তিকুঞ্জের তরফে এখনও কেউ এ বিষয়ে কোনও কথা বলেননি। তবে গোটা চর্চা তুঙ্গে উঠেছিল, গেরুয়া পাঞ্জাবি পরে দিব্যেন্দু রাম মন্দির উদ্বোধন বিজেপির নেতাদের পাশে বসেই দেখায়। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য দিব্যেন্দুর অবস্থানকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না। কিন্তু অধিকারী পরিবারকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে এখন বড় জল্পনা।

সূত্রের খবর, রাজ্যের শাসক দল যাতে পরিবারবাদের প্রশ্নে শুভেন্দুকে আক্রমণে ফুলটস বল না পায় সে ব্যাপারে সতর্ক রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে শুভেন্দু যে ‘ত্যাগ’-এর পরিচয় দিয়ে মন্ত্রী-সহ নানা পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে বিজেপিতে এসেছেন এবং বাংলায় যেভাবে বিরোধী দলনেতার ভূমিকা পালন করছেন তাতে লোকসভা ভোটে তাঁকে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীকে লোকসভা ভোটে শুধু প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাবই দেওয়া হয়নি, তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করারও আশ্বাস এসেছে দলের শীর্ষস্তর থেকে। কিন্তু শুভেন্দু রাজি নন। তাঁর প্রথম লক্ষ্য, বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে রাজ্য সরকারের পরিবর্তন ঘটানো। তিনি দিল্লির রাজনীতিতে চলে গেলে, এখানে তৃণমূলেরই সুবিধা হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

শিশির অধিকারী বয়সের কারণে আর লোকসভা নির্বাচনে যে প্রার্থী হবেন না, সেটা কার্যত নিশ্চিত। তাঁকে কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল করা হতে পারে বলে চর্চা চলছে অনেকদিন ধরেই। সৌমেন্দু অধিকারী আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি কাঁথি পুরসভা চালিয়েছেন, বিজেপির সংগঠনকেও ভালোভাবেই লিড করছেন।
বিজেপি শিবির চাইছে, অধিকারী পরিবারে যখন দুজন সাংসদ রয়েছেন, অন্তত একজন গেরুয়া শিবিরের টিকিটে দাঁড়ান। অবিভক্ত মেদিনীপুরে যে লোকসভার আসনগুলি রয়েছে সেগুলির ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যকেই গুরুত্ব দেবে দল। শেষ মুহূর্তে অনেক কিছুই রদবদল হতে পারে। তবে রাজনৈতিক মহলের খবর, দিব্যেন্দু যদি বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে তিনি কাঁথি লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হবেন।

বিজেপি শিবিরের খবর, এক বিচারপতিকে তমলুক কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন মামলার ভবিষ্যতের কথা ভেবে সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে। দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তিতে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসকে একেবারেই ম্যাচে ফিরতে দিতে নারাজ বিজেপি। তাই এক চিলতে জায়গা ছাড়া হবে না।

শুধু অবিভক্ত মেদিনীপুরই নয়, জঙ্গলমহলেও বিগত লোকসভা নির্বাচনের সাফল্য ধরে রাখতে এবার শুভেন্দুর রণকৌশলেই আস্থা রাখতে চাইছে দিল্লি বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে অমিত শাহর সভায় কোন চমক থাকে, ভোটযুদ্ধের লড়াইয়ে নামার কোন দিশা শাহ দেখান সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। শুভেন্দুও শৃঙ্খলাপরায়ণ থেকেই রাজনীতি করেন। দলীয় নির্দেশ তিনি মেনে চলেন। ফলে আগামী কয়েক ঘণ্টায় শাহী-সফরকে কেন্দ্র করে ফোকাসে অধিকারী পরিবার ও শান্তিকুঞ্জ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *