Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

 

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই কার্যকর হবে সিএএ (CAA)! আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করা নিয়ে একাধিক জল্পনা চলছে। আর এর মধ্যে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)।

আর এহেন মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। যদিও বাংলায় কোনও ভাবে সিএএ (Shantanu Thakur on CAA) কার্যকর হবে না বলে পালটা দাবি তৃণমূলের।

দক্ষিণ ২৪ পরগণার কাকদ্বীপে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন শান্তনু ঠাকুর ((Shantanu Thakur on CAA))। আর সেখান থেকেই সিএএ (CAA) নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন তিনি। বলেন, এই মঞ্চ থেকেই গ্য়ারান্টি দিচ্ছি আগামী ৭দিনে গোটা দেশেই সিএএ কার্যকর হয়ে যাবে।

সেই মতো বাংলাতেও নাগরিকত্ব আইন কার্যকর (Shantanu Thakur on CAA) হবে বলেও দাবি কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে গত বছর অমিত শাহের একটি বক্তব্যও তুলে ধরেন। বলেন, অমিত শাহ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে ‘দেশের আইন’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। এমনকি কেউ তা ঠেকাতে পারবে না।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় CAA নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন বলে মারাত্মক অভিযোগ শান্তনু ঠাকুরের। তবে বাংলাতে এই আইন কার্যকর হবে বলে স্পষ্ট বার্তা তাঁর। যদিও এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে পালটা দিয়েছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে শাসকদলের দাবি, লোকসভা ভোটের আগে ফের সিএএ’কে ইস্যু করা হচ্ছে। ধর্মীয় বেদাভেদের জন্যে বিজেপি এগুলো ব্যবহার করে। তবে বাংলাতে এই আইন কিছুতেই কার্যকর হবে না।

আর তা আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বলে দাবি কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)। সবাই ভোট দেয়, সরকার নির্বাচিত করে। এরপরেও কেন এভাবে বেদাভেদের চেষ্টা? প্রশ্ন তৃণমূল নেতার। যদিও পালটা তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফের একবার ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
বলে রাখা প্রয়োজন, দীর্ঘ প্রায় কয়েক বছর কেটে গিয়েছে। সংসদে পাশ হওয়ার পর থেকে অকার্যকর অবস্থায় একেবারে রয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯। এখনও নিয়ম বা আইনই তৈরি করার কার্যত সাহস দেখায়নি মোদী সরকার।

প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, শীঘ্রই নিয়ম লাগু করা হবে। পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা অ-মুসলিমদের দ্রুত নাগরিকত্ব দিতে এই আইন তৈরি করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *