Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

ইডির হাতে গ্রেফতার হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। সেই অবস্থায় রাজ্য শাসন করবেন কে। তার বিকল্প ভাবনা থেকেই উঠে এসেছে হেমন্ত সোরেেনর স্ত্রীর নাম। কল্পনা সোরেন। হেমন্ত সোরেনের জায়গায় তাঁকেই বসানো হবে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও তিনি নির্বাচিত বিধায়ক নন।

গতকাল রাঁচিতে দলীয় বিধায়কদের িনয়ে হেমন্ত সোরেন যে বৈঠক করেছিলেন তাঁতে হাজির ছিলেন কল্পনা সোরেনও। তারপর থেকেই জল্পনার পারদ আরও চড়েছে। ১ দিন ইডির হাতে ধরা দেননি হেমন্ত সোরেন। মনে করা হচ্ছে আজই তিনি ইডির মুখোমুখি হবেন। তাতে গ্রেফতারির সম্ভাবনা থাকতে পারে আশঙ্কা করে আগে থেকে সব সাজিয়ে গুছিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

গতকাল বিজেপি নেতা িনশিকান্ত দুবে দাবি করেছিলেন হেমন্ত সোরেন তাঁর স্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর পরিকল্পনা করছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন কল্পনা সোরেন বিহারের রাবরি দেবীর মতোই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসতে চলেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১৯৯৬ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব তাঁর স্ত্রী রাবরি দেবীকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে মোক্ষম চাল দিয়েছিলে বিরোধীদের। সকলে যখন ভেবেছিল বিহারে লালু সরকারের পতন ঘটবে তখন স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে ক্ষমতা ধরে রেখেছিলেন তিনি।

সেই একই পথে এবার হাঁটতে চলেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও। নিজের স্ত্রীকে এবার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর পরিকল্পনা করেছেন তিনি। রাবড়ি দেবীর মতোই কোনও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই কল্পনা সোরেনের। ওড়িশার ময়ুরভঞ্জ জেলার মেয়ে তিনি। ২০০৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে বিয়ে হয়ে ঝাড়খণ্ডে আসেন তিনি। কল্পনা এবং হেমন্তের দুই সন্তানও রয়েছে। নিখিল এবং অংশ।
পারিবারিক দিক দিয়েও কল্পনার কোনও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। কারণ হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার আগে একেবারেই সাধারণ পরিবাের মেয়ে ছিলেন কল্পনা। তাঁর বাবা ব্যবসায়ী। আর মা গৃহবধূ। বিয়ের আগে কল্পনা বাবার ব্যবসা এবং সামাজিক কাজে যুক্ত ছিলেন। ১৯৪৬ সালে তিনি রাঁচিতে জন্মেছিলেন এবং এমবিএ নিয়ে পড়াশোনা করেন।

হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পরেও কল্পনা সোেরন কোনও রাজনৈতিক কাজে যুক্ত ছিলেন না। তিনি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেননি। সেকারণে তাঁেক মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাতে হলে িনর্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে একটি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন করানো জরুরি। কিন্তু তাহলে জেএমএমের একটি আসন খালি করতে হবে।
এদিকে কল্পনাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর পরিকল্পনা নিয়ে হেমন্ত সোরেনের ঘরেই অশান্তি শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি নেতা নিশিকান্ত দুবে দাবি করেছেন হেমন্ত সোরেনের ভাই বসন্ত সোরেন এবং তাঁর স্ত্রী সীতা সোরেন নাকি কিছুতেই চাইছেন না কল্পনাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাতে। যদিও বসন্ত সোরেন সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। এবং তিনি দাবি করেছেন এই নিয়ে পরিবারের অন্দরে কোনও অশান্তি নেই। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা পরিবারের কোনও ভাঙন ধরানো যাবে না বলে পাল্টা বার্তা দিয়েছেন তিনি।

নিশিকান্ত দুবে জািনয়েছেন কল্পনা সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়ার সময় ৩৫ জন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সেই প্রস্তাবকে সমর্থন করে একটি প্রস্তাবও স্বাক্ষরিত হয়েছে। হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করা হয়ে যাতে কোনও ভাবেই ঝাড়খণ্ডে মুক্তি মোর্চার সরকারকে কেউ ভাঙতে না পারে সেকারণেই সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *