বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
প্রথমিকভাবে অনেকটা শেখ শাজাহানের বাড়িতে অভিযানের মতো স্টাইল ছিল। দীর্ঘা সময় ধরে ডাকডাকির পরে শেষে অনিচ্ছা সত্বেও এক রকম বাধ্য হয়ে দরজা খুলতে হয় বাড়ির লোকদের। এদিন ভোরে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোয় একাধিক টিম। সকাল ৭টার কিছু আগেই একটি টিম পৌঁছে যায় লেক টাউনে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী তথা শাসক দল তৃণমূলের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা সুজিত বসুর বাড়িতে। শীতের সকাল সাবাই তখন কিছুটা আচ্ছন্ন আর ঠিক সেই সময়ই কলিং বেল বাজে। দরজা কিছুতেই খুলতে চাই নি বাড়ির লোকেরা। যদিও পরে খোলেন। এই মুহূর্তে মন্ত্রী মশাইকে জেরা চলেছে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে এই সুজিত বসু যতদিন সিপিএমের লোক ছিলেন, ততদিন কিন্তু তার এতো বিশাল সম্পত্তি ছিল না। পরে সম্পত্তির দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে। মন্ত্রীর দুটি বাড়ি ঘিরে ফেলেছে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার বাহিনীর সংখ্যা অনেক। বারবার কলিং বেল বাজানোর পরও দরজা খুলছিলেন না কেউ। ওপার থেকে এক ব্যক্তির গলা শোনা গেলেও দরজা খুলতে রাজি ছিলেন না তিনি। বিভিন্ন রকমের অজুহাত দিয়ে সময় চাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সময় দিতে রাজি হননি ইডি অফিসার। এক আধিকারিক বাইরে থেকে বলতে থাকেন, ‘চাবি এনে দরজা খুলুন।’ এরপর দরজা খুলে দেওয়া হয়। একে একে ভিতরে প্রবেশ করেন অফিসাররা। সম্ভবত ইতিমধ্যে যাকে যাকে জানানোর মন্ত্রী ফোনে তা জানিয়ে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত স্মরণীয় দক্ষিণ দমদম পুরোনিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে গত বছর আগস্ট মাসে তাঁকে সিবিআই তলব করলেই তিনি হাজিরা দেন নি। এবার সিবিআই সদলবলে তাঁর ঘরে। দক্ষিণ দমদম পুরোনিয়োগ নিয়ে যে সময়ের অভিযোগ সেই সময় পৌর সভার উপ-প্রধান ছিলেন সুজিত বসু – যিনি আজ দমকল মন্ত্রী। এবার দরজায় ইডি আধিকারিকরা।