বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
সন্দেশখালির ঘটনার জের! সিআরপিএফের নিরাপত্তায় কড়া পদক্ষেপ। অভিযানের ক্ষেত্রে মাথায় হেলমেট, হাতে লাঠি, বডি প্রোটেক্টর রাখতে হবে জওয়ানদের। আর এরপরেই জওয়ানদের হাতে উঠেছে লাঠি, এবং বডি প্রোটেক্টর।
গত কয়েকদিন আগে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) অভিযানে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কিন্তু সেখানে রীতিমত হামলার মুখে পড়তে হয় ইডি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।
তৃণমূলের বেতাজ বাদশা শাহজাহান শেখের অনুগামীরা এই হামলা চালায়। আর এই ঘটনায় ইডির আধিকারিকরা যেমন রক্তাত্ত হন তেমনই প্রাণ ভয়ে বিভিন্ন ভাবে এলাকা (Sandeshkhali) ছাড়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। ভেঙে দেওয়া হয় বাহিনীর একের পর এক গাড়ি।
এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিশেষ করে জওয়ানদের নিরাপত্তা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছেন শীর্ষ আধিকারিকরা। আর এরপরেই কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রত্যেক জওয়ানকে মাথায় হেলমেট, হাতে লাঠি, বডি প্রোটেক্টর রাখার কথা বলা হয়েছে।
বিশেষ করে এমন ধরনের কোনও অভিযানে সামিল হলে এই ব্যবস্থা জওয়ানদের অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, আরও বেশ কিছু নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এরপরেও সিজিও কমপ্লেক্স অর্থাৎ ইডি-সিবিআই অফিসের নিরাপত্তায় থাকা জওয়ানদের হাতে লাঠি এবং বডি প্রোটেক্টর পড়ে থাকতে দেখা যায়।
বলে রাখা প্রয়োজন, বাংলার একাধিক মামলার তদন্ত করছে সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই সমস্ত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিতে যান আধিকারিকরা। আর সেই সময় তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ঘিরে রাখেন গোটা এলাকা। এমনই অভিযানে গিয়ে সন্দেশখালিতে তারাই আক্রান্ত। আর এরপরেই জওয়ানদের সুরক্ষায় এহেন কড়া বার্তা।
পাশাপাশি অভিযানের ক্ষেত্রে আরও বাহিনীকে সঙ্গে দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। তবে আগে থেকেই এই বিষয়ে নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু কড়া ভাবে বিষয়টি জওয়ানদের মানার কথা বলা হয়েছে। যা খুবও গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ঘটনার পরেই রবিবার সিআরপিএফের ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সন্দেশখালির ঘটনার খোঁজ নেন। একই সঙ্গে বেতাজ বাদশা গ্রেফতার না হওয়া নিয়ে দেন বার্তাও। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী, এজেন্সির লোকেরা মার খেয়েছে। আইনগতভাবে এর মোকাবিলার কথা ভাবছে বিজেপি, মন্তব্য দিলীপ ঘোষের।