Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:শেখ শাহজাহানদের রাজ্যের পুলিশ কখনও গ্রেফতার করবে না। কারণ, সন্দেশখালি থেকে লুটের মাল কলকাতায় ভাইপোর বাড়িতে পাঠানো হয়। দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরে এমন ঠোঁটকাটা মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

সন্দেশখালি ইস্যুতে শুভেন্দু বরাবর আক্রমণাত্মক। আক্রমণের ঝাঁজ তাহলে কি আরও বাড়ালেন তিনি? দিল্লিতে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ছিল শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারদের। সন্দেশখালি ইস্যুতে আরও বেশি আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোর বার্তা দিল্লি থেকে দেওয়া হয়েছে। তারই বহিঃপ্রকাশ কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যে?

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের নাম বদলে গিয়েছে। নতুন নাম মমতা পুলিশ। সেই পুলিশ শেখ শাহজাহানদের ধরবে না। কারণ, লুটের জিনিস কলকাতায় পাঠানো হয়। এমনই বক্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি আর সুব্রত বক্সী নেই। সেই পদে এখন রাজীব কুমারকে বসানো হয়েছে। কটাক্ষ শুভেন্দুর।

রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের বক্তব্য নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ইডি কেন রাজ্য পুলিশকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারের কথা বলবে? প্রশ্ন করলেন শুভেন্দু। রাজ্য পুলিশের নিজের দায়িত্ব শাহজাহানকে ধরা। কলকাতা হাইকোর্টে আগামী ৬ তারিখ ওই মামলার শুনানি।
শেখ শাহজাহানরা সন্দেশখালি মহিলাদের সম্ভ্রম কেবল নষ্ট করেনি। এলাকার মানুষদের ভোট পর্যন্ত দিতে দেয়নি। ২০১৩ সাল থেকে ২৩ সাল পর্যন্ত দশ বছর শেখ শাহজাহানরা ভোট করাতে দেয়নি। সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, গোসাবা, বাসন্তী সহ আশেপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারত না। পঞ্চায়েত, বিধানসভা, লোকসভা এলাকায় এই ছবি ধরা পড়েছে।

গোটা সুন্দরবন এলাকার হিন্দু ভোটার, আদিবাসী ভোটাররা ভোট দিতে পারে না।তাদের ভোট দিতে দেওয়া হত না। হাতে কালি লাগিয়ে দেওয়া হত মানুষের। এমন মারাত্মক অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
ভোট লুট শুধু নয়, মহিলাদের ইজ্জত লুট করেছে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প রয়েছে। তার কোনও কিছুই এলাকার সাধারণ মানুষ পায়নি। কারণ উন্নয়নের টাকা আসার পরেই লুট হয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ এইসব এলাকায় বঞ্চিতই থেকে গিয়েছে। শেখ শাহজাহানরা আর কীই বা করতে বাকি রেখেছে? প্রশ্ন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।

ক্যাম্প করে পুলিশ সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনছে। অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে। এই সব কিছুই ড্যামেজ কন্ট্রোল করার জন্য। এইসব করে কিছু হবে না। কটাক্ষ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *