Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই কেটে গেল শ্রমিক অসন্তোষ। কর্মবিরতি তুলে নিলেন মালবাজারের সাইলি চা-বাগানের শ্রমিকরা। *মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায়* মালিকপক্ষও দ্রুত শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও বোনাস মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে গত রবিবার মাঝরাতে জলপাইগুড়ি ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী।

 

এরপরই সাইলি চা-বাগানের বিষয়টি নিয়ে বুধবার বৈঠক করেন। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ থাকা মালবাজারের সাইলি চা-বাগান এই বৈঠকের পর খোলে জট। বৃহস্পতিবারই খুলে যায় বন্ধ চা-বাগানটি। বকেয়া মেটানো এবং মজুরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মালিকপক্ষ বলেও জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে হাসি ফুটেছে শ্রমিকদের মুখেও। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির মালবাজারে মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভা ছিল। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগের সরকার চা-শ্রমিকদের জন্য কিছুই করেনি। বর্তমান সরকার তাদের মজুরি ৬২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫২ টাকা করেছে। চা-শ্রমিকদের জমির পাট্টা দিয়েছেন সেই সঙ্গে তাদের ঘর তৈরীর জন্য টাকাও দিয়েছেন। চা-শ্রমিকদের উন্নয়নে চা-সুন্দরী প্রকল্প করা হয়েছে যাতে চা-শ্রমিকরা নিজেদের ঘরে থাকতে পারেন। শুধু তাই নয় ২০১৫ সালের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকার ভিত্তিতে সমস্ত বটলিফ ফ্যাক্টরিগুলি বন্ধ হবার মুখে ছিল। চলতি সপ্তাহ থেকে বিজেপির প্ররোচনায় এই সমস্যা শুরু হয়। যার জেরে প্রায় ১০ লক্ষ চা-শ্রমিক বিপাকে পড়েন। রাজ্য প্রশাসন চা-শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে যাতে সমস্ত বটলিফ ফ্যাক্টরিগুলি কাঁচাপাতা নিতে শুরু করে সেই বিষয়ে সমস্ত জেলার ডিএমদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে চা-শ্রমিক থেকে শুরু করে চা-চাষিদের জন্য কল্পতরু হয়ে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চা-শিল্পের উন্নয়নে জন্য যা যা করার দরকার সব কিছু করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *