Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:রাজনীতির ময়দানে খুব একটা ভালো ফল করতে কি দেখা যাচ্ছে ভাইচুং ভুটিয়াকে? সিকিমের বিধানসভা নির্বাচনের গণনার ট্রেন্ডে সেই কথা আন্দাজ করা যাচ্ছে। চার হাজারের বেশি ভোটে পিছিয়ে আছেন প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবল তারকা।

দেশের হয়ে জার্সি গায়ে ফুটবলের ময়দানে অনেক ম্যাচ জিতেছেন ভাইচুং। দুরন্ত গোল দেখা গিয়েছে তাঁর এক একট শটে৷ কিন্তু রাজনীতির ময়দানে খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না প্রাক্তন জাতীয় দলের ফুটবলার। সিকিমের ভোটে তিনি ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছেন।

বারফুং আসন থেকে তিনি সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট দলের হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চার রিক্সাল দর্জি। যত সময় এগোচ্ছে জয় পিছিয়ে যাচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভাইচুং ভুটিয়া চার হাজার ভোটে পিছিয়ে আছেন।

ভোটগণনা শুরুর সময় থেকেই নজরে ছিল এই কেন্দ্র। ভাইচুং ভুটিয়া কি এবার জিতবেন? বড় প্রশ্ন ছিল এটাই। প্রথম রাউন্ড গণনার পরেই দেখা যায় পিছিয়ে আছেন ভাইচুং। যত সময় এগোয়, ততই পিছিয়ে পড়েন প্রাক্তন ফুটবলার। এক সময় জানা যায়, তিন রাউন্ড গণনা হয়েছে। তারে চার হাজার ভোটে পিছিয়ে আছেন তিনি।
ভাইচুং বা তাঁর দলের জন্য সামগ্রিক ছবিটা খুব সুখকর নয়। কারণ ৩২ টি আসনের মধ্যে ৩১ টিতেই সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চা এগিয়ে আছে। জয় ঘোষণা এরপর সময়ের অপেক্ষা। ভাইচুংয়ের দল সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট এবার কোনও সুবিধা করতে পারল না।

সিকিম বিধানসভার ভোটগ্রহণ গত ১৯ এপ্রিল হয়েছিল। এক দফাতেই ভোট হয়। প্রথমে ঠিক হয়েছিল ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনে ফল গণনার দিনই এই গণনা হবে। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত বদল হয়। আজ ২ জুন ভোটের গণনার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
ভাইচুং ভুটিয়া ২০১৮ সালে হামরো সিকিম পার্টি গঠন করেছিলেন। গত বছর হামরো সিকিম পার্টি সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট – এর সঙ্গে মিশে যায়। প্রাক্তন ফুটবলার এখন এই দলের সহ সভাপতি।

প্রাক্তন ফুটবলার পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে দুবার নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন। দার্জিলিং থেকে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে লড়েন। শিলিগুড়ি থেকে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। দু’বারই তিনি হেরে যান।

তারপর তিনি সিকিমে চলে যান। নিজের দল গঠন করেন। তিনি গ্যাংটক এবং তুমেন-লিঙ্গি থেকে ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও দুই জায়গাতেই পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি গ্যাংটক থেকে ২০১৯ সালের উপনির্বাচনেও হেরেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *