Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শাহজাহান শেখকে হাজিরার নির্দেশ দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী পাঁচদিনের মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। দীর্ঘদিন হয়ে গিয়েছে। খোঁজ মিলছে না সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের। আজ বুধবার সকালে হঠাত করেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা।

তালা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে চলে তল্লাশি (ED Raid In Sandeshkhali)। আলমারির তালা ভেঙে বিভিন্ন সূত্রের খোঁজ চালানো হয়। দীর্ঘ তল্লাশি শেষে বাড়িটিকে ইডির তরফে শিল করে দেওয়া হয়েছে।

তবে এলাকা (ED Raid In Sandeshkhali) ছাড়ার আগে বাড়ির দেওয়ালে ইডির তরফে একটি নোটিশ সেটে দেওয়া হয়েছে। যেখানে আগামী পাঁচদিনের মধ্যে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রেশন দুর্নীতি মামলাতেই ‘বেতাজ বাদশা’কে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ২৯ জানুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে কলকাতায় ইডি দফতরে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সঙ্গে বেশ কিছু নথি নিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ইডির নির্দেশ মেনে শাহজাহান শেখ হাজিরা দেন কিনা সেদিকে নজর সবার।
রেশন দুর্নীতি (WB Ration Scam) মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে এই মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর তাঁর কাছ থেকেই এই শাহজাহান শেখের নাম পান ইডি আধিকারিকরা। আর এরপরেই গত ৫ জানুয়ারি সকালে সন্দেশখালির বাদশার ডেরায় (ED Raid In Sandeshkhali) পৌঁছে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা।

সেই সময় সে বাড়িতেই ছিল বলে অভিযোগ। কিন্ত্যু এরপরেও তদন্তে কোনও সহযোগিতা করেননি শাহজাহান শেখ। বরং তাঁর অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হতে হয় ইডির আধিকারিকরা। এমনকি মার খেতে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও।

কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে সন্দেশখালি ছাড়তে হয় ইডি এবং বাহিনীকে। ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ প্রায় ১৮ দিন হয়ে গিয়েছে। এখনও খোঁজ নেই শাহজাহান শেখের। ইডির অনুমান সম্ভবত বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা। যদিও শাসকদলের একাংশের দাবি, সন্দেশখালিতেই রয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। কেন রাজ্য প্রশাসন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করছে না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

আর এর মধ্যেই আজ সন্দেশখালির শাহজাহান শেখের বাড়িতে ফের একবার হানা (ED Raid In Sandeshkhali) দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরে। তবে এদিন অনেক বেশি সতর্ক ছিলেন তদন্তকারী থেকে শুরু করে জওয়ানরা। গোটা এলাকা ঘিরে রাখা ছিল। আর এর মধ্যে তৃণমূল নেতার বাড়িতে ঢোকেন তদন্তকারীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *