বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
হায়দরাবাদ টেস্ট খতম হয়ে গেল চার দিনেই। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হওয়ার পরও ভারতই ছিল টেস্ট জেতার ক্ষেত্রে ফেভারিট। কিন্তু ২৩১ রানও তুলতে পারল না রোহিত শর্মার দল।
সবচেয়ে কম ব্যবধানে টেস্ট হারার নিরিখে ভারতের এদিনের পরাজয় রইল চতুর্থ স্থানে। দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতাতেই পাঁচ টেস্টের সিরিজে পিছিয়ে পড়ল রাহুল দ্রাবিড়ের প্রশিক্ষণাধীন দল।
শুভমান গিল দ্বিতীয় ইনিংসে খাতা খুলতে পারলেন না। শ্রেয়স আইয়ার সাজঘরে ফিরলেন জো রুটকে ক্যাচ প্র্যাকটিস দিয়ে। শুক্রবার থেকে বিশাখাপত্তনম টেস্টেও রাহুল দ্রাবিড়কে পাবে না ভারত। রবীন্দ্র জাদেজাও এদিন যে চোট পেলেন, তা দেখে মনে করা হচ্ছে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি। এই সিরিজে তিনি খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে চর্চা চলছে।
যদিও দ্রাবিড় এদিন বুঝিয়ে দিলেন, এখনই তরুণ ক্রিকেটারদের বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেবেন না। তাঁর কথায়, উইকেট চ্যালেঞ্জিং ছিল। মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কয়েকজন তরুণ ব্যাটারের সমস্যা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের দক্ষতা রয়েছে। দলে যাঁরা রয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁরা অনেক রান করেই এসেছেন, সুযোগ পেয়েছেন যোগ্যতা অনুযায়ী।
তবে অনেক পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছু ক্ষেত্রে সময় লাগে বলেও উল্লেখ করেছেন দ্রাবিড়। তাঁর দাবি, সকলেই কঠোর পরিশ্রম করছেন। স্পিন সহায়ক পরিবেশের সঙ্গে আরও কীভাবে মানিয়ে নিতে হবে, সে ব্যাপারে তরুণ ক্রিকেটারদের গাইড করারই আভাস দিলেন দ্রাবিড়।
তরুণ ক্রিকেটারদের আরও বেশি লাল বলের ক্রিকেট খেলার পক্ষেও সওয়াল করেছেন দ্রাবিড়। সরাসরি তা না বললেও দ্রাবিড়ের কথায়, এই ক্রিকেটাররা সাদা বলের ক্রিকেট বেশি খেলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার সুযোগ বেশি পান না। ফলে তাঁরা শিখছেন এবং তা থেকে নিজেদের দক্ষতা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।
প্রথম ইনিংসে দলের কেউ শতরান পাননি। দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ের ভালো পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও প্রত্যাশিতভাবে দল ব্যাট করতে পারেনি বলে মনে করছেন দ্রাবিড়। প্রথম ইনিংসে আরও অন্তত ৭০ রান হলে ভালো হতো বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি। পিচ নিয়েও কোনও অভিযোগ নেই ভারতীয় হেড কোচের।
দ্রাবিড়ের আশা, উপভোগ্য সিরিজই হবে। ব্যাটাররা ছন্দে ফিরবেন। দ্রাবিড় বলেছেন, আমি ভেবেছিলাম ১৯০ রানের লিড পর্যাপ্ত। কিন্তু ভারতের মাটিতে তৃতীয় ইনিংসে ৪২০ রান খুব বেশি দল তুলতে পারে না। খুব বেশি প্লেয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৬ রান করতে পারবেন না বলেও উল্লেখ করেন দ্রাবিড়। ফলে পোপের ইনিংসই যে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণে ফারাক গড়ার অন্যতম ফ্য়াক্টর তা বোঝা যাচ্ছে দ্রাবিড়ের বক্তব্যেই।