Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

 

নবমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার। এটি তাঁর পাঁচ বছর মেয়াদে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথও বটে। তার সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজেপি নেতা সম্রাট চৌধুরী। তিনি কুশওয়াহা বর্ণের এবং বিহার বিজেপির সভাপতি। তিনি বিহারের প্রবীণ নেতা শকুনি চৌধুরীর ছেলে। অপর ডেপুটি সিএম হলেন বিজয় সিনহা। তিনি ভূমিহার বর্ণের। আগের সরকারে তিনি শ্রমমন্ত্রী ছিলেন।

এদিন নীতীশ কুমারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিরাগ পাসোয়ান, জিতেন রাম মাঞ্ঝি এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এছাড়াও আরও অনেক নেতাই এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা দেখা করেন বিহারের রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকারের সঙ্গে।

এদিন সকালে নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গত ১৭ মাসের পুরনো মহাজোট সরকারের অবসান হয়। পদত্যাগের পরে নীতীশ কুমার এনডিএ বিধায়কদলের বৈঠকে যোগ দেন। সেখানে তাঁকে নেতা নির্বাচিত করা হয়। এরপর নীতীশ কুমার রাজ্যপালের কাছে গিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানান।

মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে নীতীশ কুমারকে বিহারে এনডিএ-র প্রধান নিযুক্ত করা হয়। এর আগে সকালে মহাজোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পরে বলেন, মহাজোটের পরিস্থিতি ভাল ছিল না। তাই এই পদক্ষেপ। মহাজোট ঠিকঠাক না থাকায় অনেকদিন ধরেই তিনি কোনও মন্তব্য করেননি বলেও জানান। প্রসঙ্গত বিহারের মহাজোটে নীতীশ কুমারের জেডিইউকে বাদ দিলে আরজেডি, কংগ্রেস এবং তিন বামদল রয়েছে।

বিহারের রাজনীতিতে জাতপাতের গুরুত্ব রয়েছে। যে কারণে নতুন সরকারে জাত ভিত্তিক সমীকরণ সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। আপাতত মন্ত্রিসভায় কুর্মি ও ভূমিহারদের থেকে দু’জন করে, রাজপুত, যাদব, পিছড়া, অতি পিছড়া এবং মহাদলিত সম্প্রদায় থেকে একজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
এদিকে এদিন নীতীশ কুমার নবমবারের মতো শপথ নেওয়ার পরে কংগ্রেসের তরফে আস্থা ভোটের দাবি করা হয়েছে। রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অখিলেশপ্রসাদ সিং বলেছেন, নীতীশ কুমারের সিদ্ধান্তে অনেক জেডিইউ বিধায়ক ক্ষুব্ধ। ফ্লোর টেস্টেই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেনস নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখে বিহারের মানুষ অপমানিত বোধ করছেন।

অন্যদিকে, নীতীশ কুমারের রবিবারের পদক্ষেপকে ইন্ডিয়া ব্লকের জন্য বড় দাক্কা বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ ওই ব্লকের অন্যতম স্থপতি ছিলেন নীতীশ কুমার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *